নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম রাজনীতির ময়দানে পা রাখেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান (Yusuf Pathan)। প্রথমবার রাজনীতির আঙিনায় নেমে সোজা পার্লামেন্টে পৌঁছে যান তিনি। বর্তমানে তিনি একজন পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূলের সেলিব্রেটি সাংসদ। তবে এমন একজন সাংসদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি জমি দখলের অভিযোগ এনেছে গুজরাতের বারোদা পৌরসভা। ওই পৌরসভার একটি জায়গায় তিনি বেআইনিভাবে দেওয়াল তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ।
ইউসুফ পাঠান গুজরাতের বরোদার বাসিন্দা। তবে তিনি এবার লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে। যে লোকসভা কেন্দ্রে তিনি বিপুল ভোটে কংগ্রেস প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে পরাজিত করেন। যে অধীর রঞ্জন চৌধুরী এলাকায় রবিনহুড নামে পরিচিত। ২৫ বছর তিনি সাংসদ হিসেবে ছিলেন।
অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মত একজন নেতাকে হারিয়ে রাজনীতির আঙিনায় ছক্কা হাঁকানো ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে জমি দখলের যে অভিযোগ এসেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকের মধ্যেই কৌতুহল কত টাকার সম্পত্তি রয়েছে ইউসুফ পাঠানের। এর পাশাপাশি যেহেতু জমি দখলের প্রসঙ্গ এসেছে তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে কত জমি জমা রয়েছে তার।
আরও পড়ুন ? Yusuf Pathan: ছোট ঘরে বাস, কষ্টে চলত সংসার, কেমন ইউসুফ পাঠানের ছোটবেলা! জানলে চোখের কোণে আসবে জল
ইউসুফ পাঠান নিজের রোজগার সম্পর্কে যা জানিয়েছেন তা থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে রোজগার করেছিলেন ৩ কোটি ১০ লক্ষ ১৪ হাজার ৯২৮ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে রোজগারের পরিমাণ কমে যায় এবং দাঁড়ায় ২ কোটি ৬ লক্ষ ৪৬ হাজার ৮৩০ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে রোজগারের পরিমাণ আরও কমে যায় এবং দাঁড়ায়, ১ কোটি ২ লক্ষ ৩৯ হাজার ৫০ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষেও রোজগারে পতন বজায় ছিল এবং দাঁড়িয়ে ছিল ৬৪ লক্ষ ১৮ হাজার ৫৫০ টাকা। তবে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ফের ইউসুফ পাঠানের রোজগার আগের মতই অনেকটাই বেড়েছিল। রোজগার হয়েছিল ২ কোটি ৯৪ লক্ষ ২৮ হাজার ৭৬০ টাকা। ইউসুফ পাঠানের সম্পত্তি সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে তাতে তার বিভিন্ন ব্যাঙ্কের বিভিন্ন খাতে জমা থাকা টাকা, শেয়ার বাজারে থাকা টাকা, গাড়ি, হিরে-সোনা-রুপোর অলংকার ইত্যাদি মিলিয়ে মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ২৪ কোটি ৬ লক্ষ ১৬ হাজার ৩৫১.৯১ টাকা।
অস্থাবর সম্পত্তির পাশাপাশি ইউসুফ পাঠানের নামে রয়েছে স্থাবর সম্পত্তিও। চাষযোগ্য জমি, অন্যান্য জমি, ফ্ল্যাট, বাড়িঘর ইত্যাদি সবকিছু মিলিয়ে ইউসুফ পাঠানের মোট স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ২১ কোটি ৫৬ লক্ষ ৩৫ হাজার ৩৫০ টাকা। তার নামে রয়েছে ১১ কোটি ৯৬ লক্ষ ৭০ হাজার ৫৫৮.৩৮ টাকার লোন। যে জমিজমা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে তার সম্পর্কে জানা যাচ্ছে, ভাদোদরায় তিনি এবং তার ভাই ইরফান পাঠান দুজনে ২০০৮ সালে একটি বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছিলেন যার মূল্য ছিল ৬ কোটি টাকা। এছাড়াও ভাদোদরায় ৫০ শতাংশ শেয়ারে তার চাষযোগ্য জমি রয়েছে, যে দুটির একটি ৪.৮৮ একর এবং আরেকটি ১.৫৩ একর। এর পাশাপাশি তার ২৫ শতাংশ ও ৫০ শতাংশ শেয়ারে দুটি বাণিজ্যিক জায়গা রয়েছে। যে দুটি জায়গার পরিমাণ হল ২১৭০ স্কয়ার ফিট এবং ১০ হাজার ৯৯৫ স্কয়ার ফিট। এছাড়াও রয়েছে বসতবাড়ি।