নিজস্ব প্রতিবেদন : পার্টি অফিস নির্মাণের ক্ষেত্রে কেউ কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ছে না বীরভূমে। সিপিএম, তৃণমূল আর এবার বিজেপি, প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই কোটি টাকার পার্টি অফিস তৈরি হল জেলায়। আর এই সকল পার্টি অফিসকে ঘিরেই আনাচে-কানাচে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি কোটি টাকার পার্টি অফিস তৈরি করার দৌড়ে সবাই সমান!
বাম আমলে সিউড়িতে যে সিপিআইএম পার্টি অফিস তৈরি করা হয়েছিল সেটিও প্রায় কোটি টাকার। সিউড়ির সোনাতোর পাড়ায় রয়েছে এই পার্টি অফিস। পার্টি অফিসটির নাম সুরেন শরদিস ট্রাস্ট ভবন।
পরবর্তীতে তৃণমূল সরকার আসার পর বোলপুরে যে পার্টি অফিস করা হয় তার পিছনে খরচ হয়েছিল তিন কোটি টাকা। ২০১৮ সালে বোলপুরে তৈরি হয় এই পার্টি অফিস। বোলপুরে তৃণমূলের এই পার্টি অফিস ঝাঁ চকচকে এবং শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। মোজাইক, মার্বেল, টাইলস সবকিছুই ব্যবহার করা হয়েছে পার্টি অফিস তৈরি করার ক্ষেত্রে।
এই পার্টি অফিস সিসিটিভি ক্যামেরায় মোড়া। এখানে অনুব্রত মন্ডল ছাড়াও দুই মন্ত্রীদের জন্য আলাদা করে ঘর রয়েছে। এছাড়াও অডিটোরিয়াম রয়েছে এই পার্টি অফিসে। বোলপুর ছাড়াও বীরভূমের সিউড়ি শহরেও তৃণমূলের একটি দামি পার্টি অফিস রয়েছে। জেলার অন্যান্য জায়গাতেও দামি দামি পার্টি অফিস রয়েছে শাসক দল তৃণমূল।
আর এবার এই কোটি টাকার পার্টি অফিস তৈরি করার তালিকায় নাম লেখালো বিজেপি। সিউড়ির বিবেকানন্দ পল্লীর ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে থাকা এই পার্টি অফিস শুক্রবার উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ১০ কাঠা জমির উপর এখানে যে পার্টি অফিসটি তৈরি করা হয়েছে তার পিছনে সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বিজেপির এই পার্টি অফিস তৃণমূল পার্টি অফিসকে টেক্কা দেওয়ার মতোই ঝাঁ চকচকে মোজাইক করা। এসি ফ্যান এবং বিল্ডিং তৈরি করার ক্ষেত্রে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, কেবলমাত্র ইলেক্ট্রিক্যাল ওয়ারিং করতেই খরচ হয়েছে ৮০ লক্ষ টাকা।