Bangla Awas Yojana: মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই! এই পদ্ধতিতে আবেদন করে পেয়ে যান সরকারি বাড়ি

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

See at a glance how to apply for Bangla Awas Yojana: রাজ্য সরকার বরাবরই জনস্বার্থে বিভিন্ন রকম প্রকল্প চালু করে, যেমন কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষীর ভান্ডার প্রভৃতি। এইবার রাজ্য সরকারের নতুন উদ্যোগ হল বাংলা আবাস যোজনা (Bangla Awas Yojana)। এর মূল উদ্দেশ্য হলো সবার মাথার উপরে যেন ছাদ থাকে। রাজ্যের প্রত্যেকটি মানুষ থাকবে পাকা বাড়িতে, কাউকে যেন গৃহহীন অবস্থায় থাকতে না হয়। কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় এই চিন্তাভাবনাকে মাথায় রেখে একাধিক প্রকল্প বার করেছে। সেই কারণে বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম হল বাংলা আবাস যোজনা।

Advertisements

মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পরের থেকে গরীব মানুষদের তিনি অনেক সুবিধা দিয়েছেন। বাংলা আবাস যোজনা (Bangla Awas Yojana) চালু করা হয়েছে সম্পূর্ণ গরীব মানুষদের কথা চিন্তা করে। এই আবাস যোজনার সুবিধা হল যেসব মানুষ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তরফ থেকে বাড়ি পাননি, তারা সহজেই এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাড়ি বানাতে পারবেন।

Advertisements

তবে এই আবাস যোজনার মাধ্যমে কারা সুবিধা ভোগ করতে পারবেন সেটার অবশ্যই একটি মাপকাঠি রয়েছে। বাংলা আবাস যোজনাতে (Bangla Awas Yojana) যদি আপনি নাম নথিভুক্ত করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। এছাড়া যেসব মানুষের পাকা বাড়ি নেই এবং যারা বছরে ১ লাখ টাকার নিচে আয় করেন তারাই একমাত্র এই আবাস যোজনাতে নিজেদের নাম অধিভুক্ত করতে পারবেন। এছাড়া আবেদনকারীর অবশ্যই বিপিএল কালিকাপুর তো রেশন কার্ড থাকতে হবে এবং তার সাথে থাকতে হবে জমির দলিল এবং কম্পিউটারাইজড পর্চা। কিন্তু আবেদনকারী যদি সরকারি চাকরিজীবী হন তাহলে তিনি এই আবাস যোজনার সুবিধা পাবেন না।

Advertisements

জানেন কি বাংলা আবাস যোজনাতে (Bangla Awas Yojana) কত টাকা পাওয়া যাবে? তথ্য অনুযায়ী জানা যায় যে,এই আবার যোজনার মাধ্যমে আবেদনকারী এক লাখ কুড়ি হাজার টাকা পাবেন। তবে এই টাকা কয়েকটি কিস্তির মাধ্যমে তাকে দেওয়া হবে আবেদনটি নথিভুক্ত হওয়ার পর। কিন্তু আশা করা যাচ্ছে এই অর্থের পরিমাণ হয়তো বাড়ানো হতে পারে। আবেদনকারী প্রথম কিস্তিতে পাবেন প্রায় ৫০ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় কিস্তির টাকা হলো প্রায় ৪০ হাজার। আর একদম শেষে তৃতীয় কিস্তির টাকা পাওয়া যাবে বাড়ি শেষ হওয়ার পর। তবে এই টাকা জব কার্ডের মাধ্যমে ১০০টি মেনটেন-এর টাকা আবেদনকারী বা উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হবে।

এই আবাস যোজনা প্রকল্পে আবেদন করার পর আবেদনকারীকে সরাসরি ব্যাঙ্ক অথবা পোস্ট অফিসের অ্যাকাউন্টে একবারের জন্য আর্থিক সাহায্য পাবেন। সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তিতে এই আবাস যোজনার বাড়ি করা হবে। বাড়ি হবে ২৫ বর্গমিটার জায়গায়। আবেদন করতে গেলে কিছু নিয়ম অবশ্যই পালনীয়। আবেদনকারী চাইলে অনলাইনে বা এলাকার বিডিও বা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে আবেদন করতে পারবে। প্রয়োজনীয় নথিপত্র হলো আবেদনকারীর আধার কার্ড, ফ্যামিলি রেশন কার্ড, বাৎসরিক আয়ের প্রমাণ, স্থায়ী বাসিন্দার পরিচয় পত্র এবং আবেদনকারীর একটি সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

Advertisements