How to appoint Election Commissioner of India: ভোট প্যানেল লোকসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার কয়েক দিন আগে, শুক্রবার সকালে নির্বাচন কমিশনার (Election Commissioner of India) অরুন গোয়েল পদত্যাগ করেছিলেন। শনিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন এবং আইন মন্ত্রণালয় এটি ঘোষণা করার জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। অনুপ চন্দ্র পান্ডে ১৪ই ফেব্রুয়ারি ৬৫ বছর বয়সে অবসর নেন। পান্ডের অবসর এবং অরুণ গোয়েলের হঠাৎ পদত্যাগের ফলে যে ২ টি শূন্যপদ তৈরি হয়েছে, তা পূরণ পূরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনার (Election Commissioner of India) জ্ঞানেশ কুমার এবং সুখবীর সিং সান্ধু দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ইসির জন্য নতুন আইনে তারাই প্রথম সদস্য। সিইসি রাজীব কুমার তাদের স্বাগত জানান। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে বাছাই প্যানেল কুমার এবং সান্ধুকে নিয়োগ করেছিল। বাছাই কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী, আইনমন্ত্রী অর্জুন মেঘওয়াল এবং বিরোধী দলের নেতারাও ছিলেন।
কী ভাবে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করা হয়?
২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের পুরনো আইনে পরিবর্তন আনা হয়। বর্তমান আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের সার্চ কমিটিতে নেতৃত্বে থাকবেন আইনমন্ত্রী এবং সেই সাথে থাকবেন দুইজন কেন্দ্রীয় সচিব। কমিটির কাজ হল পাঁচটি নাম নির্বাচন কমিটির কাছে সুপারিশ করা। তারপর দেশের প্রধানমন্ত্রী দেশের বিরোধী দলনেতা এবং একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নিয়ে গঠিত কমিটি ওই পাঁচটি নামের মধ্যে থেকে একজনের নাম ঠিক করে থাকেন।
নির্বাচন কমিশনারের বেতন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও দুই জন নির্বাচন কমিশনার সহ তিন জনেরই বেতন দেশের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির সমান।
নির্বাচন কমিশনারের চাকরির মেয়াদকাল
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারের চাকরির মেয়াদকাল ছয় বছর বা ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত হয়ে থাকে।
নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব
দেশের সমস্ত বড় ও গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন করার সম্পূর্ণ দায়িত্ব থেকে নির্বাচন কমিশনের উপর। অর্থাৎ লোকসভা, রাজ্যসভা, বিধানসভা ও বিধানসভা পরিষদের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নিহিত থাকে নির্বাচন কমিশনের হাতে। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট তৈরি, নির্বাচনের সাথে জড়িত সমস্ত কর্মকর্তাদের নিয়োগ, সুরক্ষা বাহিনী মোতায়ন, ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ, ভোটগ্রহণ ও ভোট গণনা যাবতীয় কাজের দায়িত্ব থেকে নির্বাচন কমিশনের উপর।
নির্বাচন কমিশনারের ক্ষমতা
নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের হাতে প্রভূত ক্ষমতা থাকে। নির্বাচনের দিনক্ষণ, ভোটকেন্দ্র, নির্বাচনের সাথে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের নিয়োগের পাশাপাশি তাদের বদলি করার ক্ষমতাও রয়েছে নির্বাচন কমিশনারের হাতে। তাছাড়া নির্বাচনের আগে এবং নির্বাচনের সময়ে কোনোভাবে যদি কোন আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয় তাহলে উক্ত ব্যক্তি বা ব্যক্তি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও নিতে পারে নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনারদের বেতন এতটাই দেওয়া হয় যে তাদের মধ্যে যেন অন্য কোথাও থেকে টাকা নেওয়ার লোভ না থাকে। বেতন এবং সরকারি সুবিধা থেকেই যাতে তাদের পুষিয়ে যায় সেই জন্য এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তারা কত বেতন পান তার সম্পর্কে গুগল জানাচ্ছে, ২ লক্ষ 25 হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন তারা পেয়ে থাকেন।