নিজস্ব প্রতিবেদন : কর্মজীবন থেকে অবসর নেওয়ার পর যাতে ভবিষ্যতে কোন অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয় তার জন্য রয়েছে নানান প্রকল্প। সেই সকল প্রকল্পকে বলা হয় পেনশন স্কিম। তবে এই সকল প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি প্রকল্প হল ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম (NPS)। এই প্রকল্পে গ্রাহকরা অনেক বেশি রিটার্ন পেয়ে থাকেন। এছাড়াও বিভিন্ন দিক দিয়ে ভরসা রয়েছে ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমের উপর।
ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম প্রকল্পের মধ্য দিয়ে টাকা জমা করে যেমন বেশি সুদ পাওয়া যায়, ঠিক সেই রকমই আবার এই প্রকল্পের আওতায় থাকা অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হয়ে গেলেও টাকা মরে যাওয়ার মত ঝুঁকি থাকে না। এছাড়াও এই ধরনের অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেলেও তা খুব পুনরায় সহজে খোলা যায়। যে কারণেই ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম এতটা জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
আসলে ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম প্রকল্পের আওতায় একটি অর্থবর্ষে কোন টাকা লেনদেন না করলে সেই পেনশন অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে ফ্রিজ করে দেওয়া হয়ে থাকে। অনেক বিনিয়োগকারী রয়েছেন যারা বিভিন্ন কাজের চাপে ছোট্ট এই কাজটি করতে ভুলে যান। যে কারণেই তাদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়। তবে অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হয়ে গেলেও নির্দিষ্ট একটি ফর্ম এবং সামান্য টাকা জরিমানা দিয়ে সেই অ্যাকাউন্ট পুনরায় খোলা যায়।
আরও পড়ুন ? NPS Rules Change: ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমে টাকা তোলার নিয়মে আসছে বদল, বুঝে নিন সহজ ভাষায়
ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেলে বিনিয়োগকারীদের একটি ফর্ম ফিলাপ করতে হয়, যে ফর্মটির নাম UOS-S10-A। এই ফর্ম গ্রাহকরা চাইলে পোস্ট অফিস অথবা যে সকল জায়গায় ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম অ্যাকাউন্ট খোলা যায় বা এই সংক্রান্ত কাজ হয় সেখানে পাওয়া যায়। এছাড়াও অনলাইনে https://npscra.nsdl.co.in/download/non-government-sector/all-citizens-of-india/forms/UoS-S10A-Unfreezing%20of%20PRAN.pdf লিংক থেকেও এই ফর্ম ডাউনলোড করা যেতে পারে।
ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ করার পর প্যান কার্ডের ফটোকপি সহ তা জমা দিতে হবে। উল্লেখ করতে হবে কোন তারিখ থেকে পিচ হয়ে গিয়েছিল গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট। এই সকল তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি দিতে হবে ১০০ টাকা জরিমানা। গ্রাহকের আবেদন অনুযায়ী সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখা হবে এবং যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে পুনরায় ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমের অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করে দেওয়া হয়।