নিজস্ব প্রতিবেদন : বিভিন্ন কাজের জন্য বহু মানুষকেই বিভিন্ন জায়গায় তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় এই সকল অ্যাকাউন্টগুলি সঠিকভাবে ব্যবহার না হওয়ার কারণে এবং দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকার কারণে সেগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়। নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া এই সকল অ্যাকাউন্ট থেকে গ্রাহকরা টাকা তুলতে গিয়ে দেখতে পান টাকা উঠছে না। সেক্ষেত্রে কি করণীয়!
নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া এই সকল অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা Reserve Bank of India (RBI)-এর Depositor Education and Awareness Fund (DEAF)-এ জমা হয়ে যায়। অনেকেই ভাবতে পারেন এই ধরনের ঘটনা খুব কম। তবে তা নয়, দেখতে দেখতে এই ধরনের ঘটনায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় জমা পরা টাকার পরিমাণ ৪০ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে।
নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া এই ধরনের অ্যাকাউন্ট থেকে পুনরায় টাকা তোলা অর্থাৎ তা পুনরায় সক্রিয় করার জন্য নিশ্চিত করতে হবে অ্যাকাউন্টে কত টাকা রয়েছে। এর জন্য গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে ব্যাংকের শাখায় যেতে হবে। সেখান থেকে তারা তাদের তথ্য পেয়ে যাবেন। এই ঘটনায় ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে থাকা নমিনিও যেতে পারেন। নেট ব্যাঙ্কিং থাকলে সেক্ষেত্রেও আবেদনের মধ্য দিয়ে জানা যেতে পারে কত টাকা রয়েছে।
নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া এই ধরনের অ্যাকাউন্ট যদি গ্রাহকের নিজের নামে থাকে তাহলে প্রয়োজনীয় নথি দিয়ে কেওয়াইসি করানোর মাধ্যমে পুনরায় তা সক্রিয় করা যাবে এবং যে টাকা রয়েছে তা তুলে নেওয়া যাবে। অন্যদিকে অ্যাকাউন্টধারী ব্যক্তির যদি মৃত্যু হয়ে থাকে তাহলে সেই অ্যাকাউন্টের সঙ্গে থাকা নমিনিকে ব্যাংকের শাখায় গিয়ে তার সমস্ত নথিপত্র দেখানোর পাশাপাশি অ্যাকাউন্টেধারী ব্যক্তির নথিপত্র এবং তার ডেথ সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। এরপর নমিনি হিসাবে মনোনীত ব্যক্তি অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারবেন।
আবার অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় অনেক ব্যক্তি তাদের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে নমিনি যোগ করে রাখেন না। সেক্ষেত্রে অ্যাকাউন্টধারী ব্যক্তির মৃত্যু হওয়ার পর তার স্বামী, স্ত্রী, পুত্র অথবা কন্যাকে ব্যাংকে যেতে হবে এবং প্রমাণ করতে হবে মৃত ব্যক্তির সঙ্গে তার কি সম্পর্ক রয়েছে। মোটা অংকের টাকা থাকলে সেক্ষেত্রে উত্তরাধিকার প্রমাণপত্র দিতে হবে এবং সেই সকল তথ্য যাচাই করার পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ১৫ দিনের মধ্যে টাকা ফিরিয়ে দেবে।
অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যে নিয়ম রয়েছে তা হল, সেটিংস অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে দু’বছর এবং ফিক্সড ডিপোজিটের ক্ষেত্রে ম্যাচুরিটির সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর আট বছর। দুই ক্ষেত্রেই নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কোনরকম লেনদেন না হলে তা নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।