কলকাতা: আরজি কর কান্ড (RG Kar) নিয়ে এখন গোটা দেশ তোলপাড়। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের যুবতী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় আন্দোলন চলছে। যে আন্দোলন রাজ্যের পাশাপাশি ছড়িয়ে পড়েছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায়। অন্যদিকে এই ঘটনায় বারবার যার নাম জড়াচ্ছে, বারবার যাকে সিবিআই তলব করছে তিনি হলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। যে সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে সাধারণ মানুষদের মধ্যে নানান প্রশ্ন রয়েছে।
সন্দীপ ঘোষ কেমন স্বভাবের মানুষ? তিনি পড়াশোনায় কেমন ছিলেন? এমন নানান প্রশ্ন কিন্তু সাধারণ মানুষদের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। আর এই সকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে যা পাওয়া যাচ্ছে তাতে সন্দীপ ঘোষকে আমরা এখন যেমন দেখছি বা মনে করছি তেমনটা ছিলেন না। তিনি ছাত্রাবস্থায় ছিলেন একজন সুবোধ বালক। অন্ততপক্ষে তিনি যেখান থেকে পড়াশোনা করেছেন সেই স্কুল থেকেই এমনই তথ্য পাওয়া যায়।
সন্দীপ ঘোষ উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ হাইস্কুল থেকে পড়াশোনা করেছিলেন। আরজি কর কান্ডের পর তার নাম জড়িয়ে যাওয়া স্বাভাবিকভাবেই ওই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক থেকে শুরু করে সন্দীপ ঘোষের সহপাঠীদের অবাক করছে। পাশাপাশি অবাক তার সিনিয়ররাও। সন্দীপ ঘোষ বনগাঁ হাই স্কুল থেকে ১৯৮৯ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছিলেন। সে সময় তার প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৮০ শতাংশ।
আরও পড়ুন : RG Kar Hospital: বিলেত ফেরৎ ডাঃ আরজি কর ভিক্ষে করে গড়েছিলেন আরজি কর হাসপাতাল, আজ চলছে তাণ্ডব
ওই স্কুলের এক প্রাক্তন শিক্ষক সন্দীপ ঘোষ সম্পর্কে জানিয়েছেন, পড়াশোনা থেকে শুরু করে গঠনমূলক কাজের ক্ষেত্রে সন্দীপ ঘোষের তুলনা হতো না স্কুলে। স্কুলে কোনদিন তাকে কোনরকম দুষ্টুমি করতে দেখা যায়নি। এখন তাকে টিভিতে এইভাবে দেখে অবাক লাগার পাশাপাশি পুরো বিষয়টি নিয়েই খারাপ লাগছে। অবসরপ্রাপ্ত ওই শিক্ষকের মতোই স্কুলের অন্যান্য প্রাক্তনী যারা রয়েছেন, যারা সন্দীপ ঘোষকে চিনতেন তাদের প্রত্যেকেরই বিষয়টি খারাপ লাগার পাশাপাশি অবাক করছে।
স্কুলে পড়াকালীন সন্দীপ ঘোষের খুব বেশি বন্ধুবান্ধব ছিল না বলেই জানা গিয়েছে। অধিকাংশ সময়ই তিনি পড়াশোনা করেই কাটাতেন। এর পাশাপাশি ভালো কাজের ক্ষেত্রেও সব সময় হাত বাড়িয়ে দিতেন সন্দীপ ঘোষ। পরবর্তীতে মেধার জোরে তিনি ডাক্তারি নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন এবং আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ হয়েছিলেন। সম্প্রীতি আরজি করে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর তিনি পদত্যাগ করেন। তবে আবার তাকে অন্য মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ করা হলে সেখানেও আন্দোলন শুরু হয় এবং হাইকোর্টের নির্দেশে তিনি এখন লম্বা ছুটিতে। লম্বা ছুটির মাঝে বারবার সিবিআই তলব।