Underwater Metro: আচ্ছা বলুন তো, মেট্রোয় বসে আপনি কিভাবে বুঝবেন গঙ্গার তল দিয়ে যাচ্ছেন!

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে ৬ মার্চ বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত দিয়ে উদ্বোধন হয়ে গেল ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো করিডরের হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা। এটি হলো দেশের প্রথম আন্ডারওয়াটার মেট্রো (Underwater Metro) পরিষেবা, যা গঙ্গার নিচে দিয়ে ছুটবে।

Advertisements

বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত দিয়ে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো করিডরের এই অংশের পরিষেবা চালু হয়ে গেলেও অবশ্য এখনই বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিষেবা শুরু হচ্ছে না। বাণিজ্যিক ভাবে যাত্রী পরিষেবা শুরু হতে হয়তো আরও দিন কয়েক সময় লাগবে। বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিষেবা শুরু হয়ে যাওয়ার পর যাত্রীরা গঙ্গার নিচ দিয়ে হাওড়া থেকে কলকাতায় আসতে পারবেন।

Advertisements

হাওড়া থেকে মেট্রোয় চড়ে কলকাতা আসার ক্ষেত্রে গঙ্গার নিচে দিয়ে পার হওয়ার সময় যাত্রীরা কিভাবে বুঝবেন তিনি এখন গঙ্গার নিচে দিয়ে যাচ্ছেন? এই প্রশ্নটি যাচ্ছে এই কারণেই, কারণ মেট্রো চড়ে যাওয়ার সময় তো আর গঙ্গার জল দেখা যাবে না। তাহলে কিভাবে যাত্রীরা বুঝতে পারবেন তিনি গঙ্গার নিচে দিয়ে যাচ্ছেন! যাতে যাত্রীরা বুঝতে পারেন তিনি গঙ্গার নিচে দিয়ে যাচ্ছেন তার জন্য মেট্রো তরফ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Howrah Maidan to Esplanade Metro: উদ্বোধন হলো হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড মেট্রোর, ৩ নজির গড়ল বাংলা

হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রো করিডরের মোট মেট্রো পথের মধ্যে ৫২০ মিটার দীর্ঘ মেট্রো পথ হল গঙ্গার নিচে। এই পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে মাত্র ৪৬ সেকেন্ড। বুঝতেই পারছেন, এক মিনিটও লাগবে না গঙ্গার এপার থেকে ওপার যাওয়ার জন্য। তবে এই অল্প সময়ের মধ্যেই যাত্রীরা বুঝতে পারবেন বা টের পাবেন তারা গঙ্গার নিচে দিয়ে ছুটে চলেছেন।

যাত্রীদের গঙ্গার নিচে দিয়ে যাওয়া উপলব্ধি করার জন্য রাখা হয়েছে নীল আলো। অন্যান্য জায়গায় সাধারণ আলো থাকলেও গঙ্গার নিচে যেটুকু অংশ পড়তে সেই অংশটুকু নীল আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে করে বোঝা যায় এই অংশ গঙ্গার নিচের অংশ। অর্থাৎ যাত্রীরা যখন মেট্রোয় চড়ে যাবেন এবং যখন নীল আলো যেতে পারবেন তখনই তাদের বুঝে নিতে হবে তিনি এখন গঙ্গার নিচে রয়েছেন। এছাড়াও ওই অংশে বিভিন্ন ধরনের মাছের ছবি আঁকা হয়েছে। যাতে করে যাত্রীরা আলাদা অনুভূতি পান।

Advertisements