নিজস্ব প্রতিবেদন : এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াতের ক্ষেত্রে অধিকাংশ মানুষেরই সম্বল হল গণপরিবহণ। আবার গণপরিবহনের কথা বলতে হলে সবার প্রথম যার নাম আসে সেটি হল রেল পরিষেবা (Rail Service)। রেল পরিষেবার ওপর নির্ভর করে ভারতের প্রায় এক কোটি মানুষ প্রতিদিন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। যে কারণে ভারতীয় রেল (Indian Railways) এখন হয়ে উঠেছে গণপরিবহনের মেরুদন্ড। আবার দেশের প্রতিটি মানুষই চান, যেন তাদের এলাকায় পৌঁছে যায় রেল পরিষেবা।
মূলত রেল পরিষেবার উপর নির্ভর অল্প সময়ে, কম খরচে যাতায়াত করার সুবিধা রয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা বাড়ছে রেল পরিষেবার। আর এবার পুজোর আগে এই রেল পরিষেবা নিয়েই সুখবর দিল ভারতীয় রেল। রেলের তরফ থেকে নতুন যে সুখবর দেওয়া হয়েছে তাতে উপকৃত হবেন সেই সকল যাত্রীরা যারা কলকাতা থেকে ঝাড়গ্রাম অথবা ঝাড়গ্রাম থেকে কলকাতা যাতায়াত করে থাকেন।
রেলের নতুন সিদ্ধান্তের ফলে অনেক সময় বাঁচবে ঝাড়গ্রাম যাতায়াতের ক্ষেত্রে। কেননা সাধারণ মানুষের কথা ভেবে বুধবার থেকেই হাওড়া-বড়বিল-হাওড়া জনশতাব্দী এক্সপ্রেস ঝাড়গ্রাম স্টেশনে স্টপেজ দেওয়া শুরু করলো। বুধবার সকাল ৬:২০ মিনিটে হাওড়া স্টেশন থেকে এই ট্রেনটি ছাড়ার পর ঝাড়গ্রাম স্টেশনে পৌঁছায় সকাল ৮:২৪ মিনিটে। মাত্র দু’ঘন্টায় হাওড়া থেকে ঝাড়গ্রাম পৌঁছে যাওয়া যাবে এই ট্রেনের নতুন স্টপেজ পাওয়ার ফলে।
এই ট্রেনটি আবার ফেরার পথে সন্ধ্যা ৬:০৮ মিনিটে ঝাড়গ্রাম স্টেশনে দাঁড়াবে। এরপর ট্রেনটি হাওড়া স্টেশন এসে পৌঁছাবে রাত ৮ঃ৫৫ মিনিটে। ফেরার সময় কিছুটা হলেও সময় বেশি নেবে ট্রেনটি। তবে হাওড়া-বড়বিল-হাওড়া জনশতাব্দী এক্সপ্রেস ঝাড়গ্রাম স্টেশনে স্টপেজ দেওয়া শুরু করার ফলে কোন যাত্রী সকালবেলায় হাওড়া থেকে ঝাড়গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে কাজ সেরে ফের কলকাতায় ফিরতে পারবেন সহজেই।
ঝাড়গ্রাম স্টেশনে দূরপাল্লার একাধিক ট্রেনের স্টপেজ দেওয়ার দাবি দীর্ঘদিন ধরেই ছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের। সেই দাবি মেনে এবং এলাকার বাসিন্দাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে রেলের তরফ থেকে হাওড়া-বড়বিল-হাওড়া জনশতাব্দী এক্সপ্রেস স্টপেজ দেওয়ার বন্দোবস্ত করে। স্টপেজ দেওয়ার এই বন্দোবস্ত হওয়ার ফলে স্বাভাবিকভাবেই খুশি ঝাড় গ্রামের বাসিন্দারা।