নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্যে ইতিমধ্যেই ২০ টির বেশি জায়গাকে হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করেছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই জায়গাগুলিকে হটস্পট না বলে ‘মাইক্রো প্ল্যানিং’ আখ্যা দিয়েছেন। আর এই মাইক্রো প্ল্যানিংয়ের আওতায় এসেছে হাওড়া পুর নিগম। হাওড়া পুর নিগমে মাইক্রো প্ল্যানিং শুরু হওয়ার পর থেকে সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রায় কি কি পরিবর্তন আনা হয়েছে? কিভাবে তারা পাচ্ছেন অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা?
হাওড়া পুর এলাকার একাধিক জায়গা সিল করে দেওয়ার পর যেন এখানকার বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বের হতে না হয় তার জন্য বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে হাওড়া পুর নিগম। ৪৩ রকমের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছে পুরো কর্মীদের মাধ্যমে। আর এই সকল সামগ্রী পাওয়া যাবে সম্পূর্ণ বাজারদরেই।
পুরো এলাকার বাসিন্দাদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য পুর নিগমের তরফ থেকে চালু করা হয়েছে একটি টোল ফ্রি নম্বর। নম্বরটি হলো ১৮০০১২১৫০০০০০। এই নম্বরে ফোন করে নিত্যপ্রয়োজনীয় ওই ৪৩ রকমের সামগ্রী অর্ডার দেওয়া যাবে। অর্ডার অনুযায়ী সামগ্রী পৌঁছে যাবে বাসিন্দাদের বাড়িতে বাড়িতে। ফুড চেনের কর্মীরা সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বে রয়েছেন। পাশাপাশি সামগ্রী পৌঁছানোর পরই বাসিন্দাদের মেটাতে হবে টাকা, আগে টাকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আর এই হোম ডেলিভারি দেওয়ার জন্য কোনো রকম বাড়তি খরচও করতে হবে না এলাকার বাসিন্দাদের। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত মুদিখানার সামগ্রী বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে।
তবে সামগ্রী অর্ডার দেওয়ার ক্ষেত্রে দুটি শর্ত রাখা হয়েছে। প্রথম শর্ত হলো অন্ততপক্ষে ২০০ টাকার সামগ্রী অর্ডার দিতে হবে। আর দ্বিতীয় শর্ত হলো অর্ডার দেওয়া সমস্ত সামগ্রী মিলিয়ে যেন ওজন ১০ কেজির নিচে হয়। অর্ডারের ক্ষেত্রে পরিবার পিছু দিনে একবারই অর্ডার নেওয়া হবে। বারবার অর্ডার দেওয়া অথবা অবাঞ্ছিত সময় নষ্ট করা যাবে না। প্রথম দফায় ১ থেকে ৬ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত এই বিশেষ পরিষেবা চালু করেছে হাওড়া পুর নিগম।