Howrah-Esplanade Route created a new example of earning: গত ১৫ই মার্চ শুরু হয়েছে গঙ্গার নিচে মেট্রো চলাচল। রুট হাওড়া টু এসপ্ল্যানেড। গত এক সপ্তাহ আগেই দুমাস পূর্তি হয়েছে মেট্রোর এই নয়া রুটের (Howrah-Esplanade Route)। আর সেই দু’মাসেই রোজগারের দিক থেকে কামাল করে দেখালো হাওড়া-এসপ্ল্যানেড রুট। যাত্রী সংখ্যার দিক থেকেও এই নয়া রুট টেক্কা দিয়েছে শিয়ালদা-সেক্টর ফাইভ রুটকে।
প্রসঙ্গত, বহুদিন ধরেই চলছিল গঙ্গার নিচে মেট্রো চলাচলের কাজ। যে কাজ সম্পন্ন করে গত ১৫ই মার্চ থেকে শুরু হয়েছে মেট্রো চলাচল। যা বর্তমান সময়ে নিত্য ট্রেনযাত্রীদের কলকাতায় আসার সুবিধা করেছে। জেলা থেকে যেসব ব্যক্তিরা কলকাতায় আসেন তাদের কাছে কলকাতা পৌঁছানোর অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছে মেট্রোর গ্রীন লাইন টু (Howrah-Esplanade Route)। ফলেই দুই মাসেই বিপুল সংখ্যক যাত্রী বেড়েছে এই রুটের মেট্রোতে। যাত্রী বৃদ্ধি পাওয়ায় ২মাসে দারুন পকেট ভরেছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের। দু মাসে কত সংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করেছে? রোজগারের অঙ্কই বা কত?
যাত্রী পরিসংখ্যান বলছে, গত দুই মাসে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর গ্রীন লাইন ১-এ শিয়ালদা সেক্টর ফাইভ রুটে মোট যাত্রী যাতায়াতের সংখ্যা ২১ লক্ষ। যেখানে গত দুই মাসে হাওড়া-এসপ্ল্যানেড রুটের যাত্রী যাতায়াতের সংখ্যা পুরনো রুটের তুলনা ৩ লক্ষ বেশি। মোট যাত্রী যাতায়াতের সংখ্যা ২৪ লক্ষ। যাত্রী সংখ্যা যেহেতু বেশি সেই নিরিখে মেট্রো গ্রীন লাইন ২ থেকে আয়ও বেশি হয়েছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের।
গত দুই মাসে রোজগারের হিসাব বলছে, শিয়ালদা-সেক্টর ফাইভ রুটে ২১ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের রোজগার হয়েছে ৩ কোটি ১১ লক্ষ টাকা। সেদিক থেকে বলে বলে গোল দিয়েছে নয়া মেট্রো রুট। হাওড়া-এসপ্ল্যানেড রুটে ২৪ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করে এই রুটের রোজগার হয়েছে ৩ কোটি ৪০ লক্ষ।
গঙ্গার নিচে দিয়ে মেট্রো (Howrah-Esplanade Route) পরিষেবা চালু হাওয়ায় নিত্যযাত্রীদের জন্য সুবিধাজনক হলেও অ্যাপ ক্যাবগুলি পড়েছে অসুবিধায়। কমে গিয়েছে প্যাসেঞ্জার। ভাড়া কমিয়েও পাচ্ছে না অ্যাপ ক্যাবের প্যাসেঞ্জার। বাসেও খুব একটা ভিড় দেখা যাচ্ছে না। কারণ হাওড়া-এসপ্ল্যানেড রুটে মেট্রো চলাচলের পূর্বে নিত্য যাত্রীদের খুব কষ্ট করে গন্তব্য পৌঁছতে হতো। কিন্তু বর্তমানে আর সেই কষ্ট করতে হয় না। কয়েক মিনিটেই তারা নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছে যায়। ফলস্বরূপ হাওড়া-এসপ্ল্যানেড রুটের এই মেট্রো পরিষেবা সর্বদিক থেকেই যে নজির গড়েছে তা বলাই বাহুল্য।