অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা পশ্চিমবঙ্গ। গত পয়লা নভেম্বর ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হন তিনি। তারপর হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। আর সেখানেই তার জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ঐন্দ্রিলা। সম্প্রতি চিকিৎসায় গাফিলতি হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা।
তিনি ওই বেসরকারি হাসপাতালের এক মহিলা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করছেন। হাওড়ার যে বেসরকারি হাসপাতালে ঐন্দ্রিলার চিকিৎসা হচ্ছিল সেখানকার একটি ইউনিটের ইনচার্জ ছিলেন ওই মহিলা ডাক্তার। শিখা শর্মার এও অভিযোগ করেন যে, তাঁর মেয়েকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছেন ওই মহিলা ডাক্তার। ওই মহিলা চিকিৎসক নাকি অন্যান্য নিউরো স্পেশালিস্ট ডাক্তারদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেননি এবং বেশ দম্ভ দেখিয়েছেন বলে জানান ঐন্দ্রিলার মা।
তিনি আরও দাবি করেন, বাইরে থেকে চিকিৎসক এসে ব্লাড রিক্যুইজিশন করে ওষুধ লিখে দিলে ওই চিকিৎসক তা দিতেন না। একইসঙ্গে অবশ্য তিনি একথাও জানিয়েছেন যে, হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসকরা অত্যন্ত ভালো এবং নার্স-স্টাফরা সকলেই যথেষ্ট মানবিক, কার্য দক্ষতাসম্পন্ন। তিনি অন্যান্য চিকিৎসকদের অনেক প্রশংসাও করেছেন তিনি।
যদিও ঐন্দ্রিলার মায়ের এই অভিযোগের জন্য রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে যখন চারিদিকে আলোচনা চলছে জোরকদমে, তখন কী বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? এক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, হাসপাতাল থেকে বলা হয়, তাদের কাছে ঐন্দ্রিলার পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। তারা বলেন, এই বিষয়টি শোনার পর ঐন্দ্রিলার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি, এবার তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পর আমাদের যা যা করণীয় তা করা হবে। তারা বলেছেন বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক, ঐন্দ্রিলার পরিবার বিষয়টি আগে জানাতে পারতেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মনে করে ঐন্দ্রিলার পরিবারের সাথে কোথাও একটা মিস কমিউনিকেশন হয়েছে
তবে বেসরকারি হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছেন ঐন্দ্রিলার মা। তিনি বলেছেন, “ওই মহিলা চিকিৎসক প্রথম থেকেই নাকি নেগেটিভ আচরণ করেছিলেন। এমনকী, আমার ঐন্দ্রিলাকে বাঁচানো সম্ভব নয়, এমন মন্তব্যও করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে।” ঐন্দ্রিলা শর্মার বাবা এবং দিদি দুজনেই পেশায় চিকিৎসক। তার মাও নার্সিং পেশার সঙ্গে যুক্ত। তবু অপারেশনের পর যে অবহেলা হবে তা বুঝতে পারেননি তারা। ঐন্দ্রিলার মা বলেন, ওই চিকিৎসক জটিল রোগে আক্রান্ত কোনও রোগীর চিকিৎসা করার যোগ্য নন। এই অভিযোগের জন্যই এবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে ঐন্দ্রিলার পরিবারের সঙ্গে।