নিজস্ব প্রতিবেদন : হাওড়া থেকে দিল্লি যাতায়াতের ক্ষেত্রে রেলপথে কম করে ১৭ ঘন্টা, আর যদি বেশি ধরা হয় তাহলে সময় লাগে ২৩ ঘন্টা। সবচেয়ে কম সময়ে হাওড়া থেকে দিল্লি পৌঁছে দেয় রাজধানী এক্সপ্রেস। রাজধানী এক্সপ্রেসে দিল্লি যেতে সময় লাগে ১৭ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। অন্যদিকে যদি অন্য ট্রেনের কথা ধরা হয় তাহলে অধিকাংশ ট্রেনেই সময় লাগে ২০-২৩ ঘন্টা। হাওড়া থেকে দিল্লী (Howrah to Delhi) ২৩ ঘন্টা সময় নেয় নেতাজি এক্সপ্রেস। তবে এই পথ এবার পৌঁছে যাওয়া যাবে মাত্র ১০ ঘন্টায়।
হাওড়া থেকে যাত্রীদের দিল্লি পৌঁছে দেওয়ার জন্য রেলের (Indian Railways) তরফ থেকে এবার বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। অনেকেই ভাবতে পারেনি তাহলে নতুন কোন ট্রেন নামানো হচ্ছে ট্র্যাকে। তবে যারা এমনটা ভাবছেন তাদের সেই ভাবনা ভুল। কেননা নতুন কোন ট্রেন নয় বরং পরিকাঠামোই বদল এনে হাওড়া থেকে দিল্লি রেল পথের সময় কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে রেল। এর ফলে প্রতিটি ট্রেনেরই যাত্রার সময় কমে যাবে।
ভারতে ইতিমধ্যেই সেমি হাই স্পিড ট্রেন চালু হলেও তা নামেই বলা যেতে পারে। কেননা এখনো পর্যন্ত কোন ট্রেনই ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটতে সক্ষম নয়। আবার যদি গড় গতিবেগের কথা ধরা হয় তাহলে আগের তুলনায় অনেক বাড়লেও তা অনেক কম। গড় গতিবেগ অনেক কম থাকার কারণে ট্রেনগুলিকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাওয়ার জন্য দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করতে হয়। আর এই গড় গতিবেগ কমে যায় মূলত রেল লাইনের পরিকাঠামোর কারণে।
আরও পড়ুন ? 6th Vande Bharat Route: হাওড়া থেকে এবার ছুটবে ষষ্ঠ বন্দে ভারত! জানুন কোন রুটে
এবার ভারতীয় রেলের তরফ থেকে রেল লাইনের পরিকাঠামো উন্নত করার পাশাপাশি রেল লাইনের ধারে বেড়া বসানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময় এই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং তার পরই হাই স্পিড ট্রেন হাই গতিতে যাতায়াত করতে সক্ষম হবে। এই কাজ সম্পন্ন হলেই হাওড়া থেকে দিল্লি ট্রেনে ১০ ঘন্টায় পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রেল সূত্রে যা জানা যাচ্ছে তাতে হাওড়া ডিভিশনের এই কাজ এখন শেষ হওয়ার মুখে। রেলের তরফ থেকে ডানকুনি থেকে খানা জংশন পর্যন্ত ঘন্টায় ১৩০ কিলোমিটারের পরিবর্তে ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটারে ট্রেন চলাচল করার উপযুক্ত করা হচ্ছে। অন্যান্য জায়গাতেও এই কাজ দ্রুত গতিতে চলছে এবং সেই সকল সমস্ত জায়গাতেই গতিবেগ বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছে যাবে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটারে। এই ব্যবস্থার ফলে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের পাশাপাশি রাজধানী সহ অন্যান্য ট্রেনের গতিবেগ বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি ট্রেনের গতিবেগ আরও বৃদ্ধি করার জন্য ধানবাদ ডিভিশনের ২০টি রেলগেট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে সাবওয়ে চালু করা হবে। এমন সব ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে রাজধানী এক্সপ্রেসের মত ট্রেনে দিল্লির দূরত্ব ৭ ঘন্টা এবং অন্যান্য ট্রেনের ক্ষেত্রেও কয়েক ঘণ্টা কমে যাওয়ার আশা করা হচ্ছে।