উচ্চমাধ্যমিকে ৫০০-তে ৪৯৯, কন্যাশ্রীর ব্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করা হলো রুমানাকে

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর করোনার কারণে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। বিকল্প পদ্ধতির মধ্য দিয়ে মূল্যায়ন করা হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের। আর এই পরীক্ষা না হওয়া পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হতেই দেখা যায় এককভাবে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন মুর্শিদাবাদের কান্দির রুমানা সুলতানা। তার প্রাপ্ত নম্বর হলো ৫০০-তে ৪৯৯। আর এই অভূতপূর্ব রেজাল্টের জন্য তাকে কন্যাশ্রীর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে বেছে নেওয়া হলো।

Advertisements

Advertisements

রুমানা সুলতানা এর আগে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পঞ্চম স্থান অধিকার করেছিল। এরপর উচ্চমাধ্যমিকে তার এই অভূতপূর্ব ফলাফলের জন্য বহরমপুরের কালেক্টরি কনফারেন্স হলে রুমানাকে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানেই তাকে জেলাশাসক রাজ্য সরকারের প্রকল্প কন্যাশ্রীর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘোষণা করেন।

Advertisements

রুমানা সুলতানা মুর্শিদাবাদের কান্দি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের হোটেল পাড়ার বাসিন্দা। সে এই বছর কান্দির কান্দি মণীন্দ্রচন্দ্র গার্লস স্কুল থেকে পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিল। রুমানার বাবা রবিউল আলম একজন প্রধান শিক্ষক। মা সুলতানা পারভিনও একজন শিক্ষিকা। রবিউল আলম ভরতপুর থানার অচলা বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক। মা সুলতানা পারভীন ভরতপুরের গয়সাবাদ অচলা বিদ্যামন্দিরে শিক্ষিকা। বাবা ও মা দুজনেই শিক্ষক-শিক্ষিকা হওয়াই স্বাভাবিক ভাবেই বাড়িতে পড়াশোনার পরিবেশ রয়েছে।

শুক্রবার উচ্চমাধ্যমিকের সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত রুমানাকে সংবর্ধনা দেওয়ার সময় মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক শরৎকুমার দ্বিবেদী বলেন, “মুর্শিদাবাদের নাম উজ্জ্বল করেছে রুমানা। সে কন্যাশ্রী। একজন যোদ্ধা ছাত্রী। তাই তাকে কন্যাশ্রীর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার করা হবে।”

বাবা-মায়ের সাহায্য নিয়ে পড়াশোনা করে রুমানা মাধ্যমিকে প্রথম স্থান অধিকার করেছিল। তবে এই বছর করোনাকালে পরীক্ষা না হলেও উচ্চমাধ্যমিকের মূল্যায়ন পদ্ধতি অনুসারে সে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে। তার এই কৃতিত্বের খুশি মুর্শিদাবাদের বাসিন্দারা। তার এমন ফলাফল এবং তাকে যেভাবে কন্যাশ্রীর অ্যাম্বাসেডর করা হয়েছে তাতে জেলার অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা অনুপ্রাণিত হবে বলেই মনে করছে জেলা প্রশাসন।

Advertisements