সংকটের মাঝেই স্বস্তি, একদিনে রেকর্ড সংখ্যক করোনা রোগী সুস্থ বীরভূমে, রাজ্যে ১৪৯

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার প্রথম থেকে লক্ষ্য করা গিয়েছিল কলকাতা ও শহরতলী এলাকায় বেড়ে চলেছে সংক্রমণ। তবে এরপর যখন পরিযায়ী শ্রমিক ও অন্যান্য রাজ্য থেকে আসতে শুরু করেন তখন সমানতালে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে জেলাগুলিতেও। আর সেসময় জেলাগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় উত্তর দিনাজপুর, মালদা ও বীরভূম। এই তিন জেলার মধ্যে দুই জেলা ইতিমধ্যেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে দেড়শ, আর এক জেলা দেড়শ’র কাছাকাছি।

Advertisements

Advertisements

তবে এই সংকটকালীন অবস্থাতাতেই স্বস্তির খবর এসেছে এই জেলাগুলি থেকেই। এই তিন জেলার মধ্যে বীরভূমে সোমবার রেকর্ড সংখ্যক করোনা পজিটিভ রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন। গত ২৪ ঘন্টায় ৩৩ জন করোনা পজিটিভ রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন, যা রাজ্যের প্রতিটি জেলার নিরিখে গত ২৪ ঘণ্টায় সবথেকে বেশি। আর এযাবৎ বীরভূমে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন ৬৩ জন।

Advertisements

বীরভূম সহ অন্যান্য জেলা মিলে এদিন ১৪৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। যাদের মধ্যে কলকাতার ২৩ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২ জন, উত্তর ২৪ পরগনার ১৫ জন, হুগলি ১১ জন, হাওড়া ১২ জন, পশ্চিম বর্ধমান ২ জন, পূর্ব বর্ধমান ১৬ জন, পূর্ব মেদিনীপুর ৯ জন, মুর্শিদাবাদ ৬ জন এবং মালদা ১৮ জন।

এদিন সুস্থ হয়ে যেমন বিপুলসংখ্যক মানুষ বাড়ি ফিরেছেন ঠিক তেমনই রাজ্যে নতুন করে করোনা পজেটিভ হয়েছেন ২৭১ জন। যাদের মধ্যে আলিপুরদুয়ারে রয়েছেন ১ জন। এখানে মোট আক্রান্ত ৫ জন। কোচবিহারে ১৯ জন, মোট আক্রান্ত ৮৭। দার্জিলিংয়ে ৬, মোট আক্রান্ত ২৭। কালিম্পং ০, মোট আক্রান্ত ৭। জলপাইগুড়ি ২, মোট আক্রান্ত ১৫। উত্তর দিনাজপুর ৫, মোট ১৫৯। দক্ষিণ দিনাজপুর ১০, মোট ২৫। মালদা ৩, মোট ১৫২। নদিয়া ১, মোট ৯২। বীরভূম ৩০, মোট ১৬০। পুরুলিয়া ০, মোট ৭। বাঁকুড়া ৭, মোট ৪৩। ঝাড়গ্রাম ০, মোট ৬। পশ্চিম মেদিনীপুর ৫, মোট ৪০। পূর্ব মেদিনীপুর ৮, মোট ১০৮। পূর্ব বর্ধমান ৪, মোট ৯৫। পশ্চিম বর্ধমান ২, মোট ৫৬। হাওড়া ৭৮, মোট ১১০৭। হুগলি ৭, মোট ৩০৬। উত্তর ২৪ পরগনা ১৮, মোট ৭৫৩। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ৬, মোট ১৯৬। কলকাতা ৫৪, মোট ২১৭৯।

রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই সংখ্যার হিসাবে রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৫৩+৭২। তবে ধীরে ধীরে রাজ্যে সুস্থতার হারও বেড়ে চলেছে। এদিনের রিপোর্ট অনুযায়ী রাজ্যে সুস্থতার হার পৌঁছে গেছে ৩৯.৯৫ শতাংশে।

Advertisements