ভোল বদলাতে চলেছে দিঘা! ১২ কোটি টাকার এই প্রকল্প বদলে দিচ্ছে সৈকত শহরকে

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘা (Digha) পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ভারত এবং বিশ্বের বহু দেশের কাছেই অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি জায়গা। মূলত দীঘা সবচেয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে। এখানে প্রতিদিনই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজার হাজার পর্যটকদের সমাগম হয়। তবে দীঘা যে শুধু পর্যটন কেন্দ্রের জন্যই বিখ্যাত এমন নয়, দীঘা হল উত্তর-পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় মৎস্য নিলাম কেন্দ্র।

Advertisements

দীঘা মোহনায় থাকা উত্তর-পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় এই মৎস্য নিলাম কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সামুদ্রিক মাছ রপ্তানি করার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গাতেও রপ্তানি করা হয়। শুধু রাজ্য ও অথবা দেশ নয়, বিদেশের বিভিন্ন জায়গাতেও দীঘা মোহনা মৎস্য কেন্দ্র থেকে পৌঁছে যায় মাছ। মাছ ধরার মরশুমে কোটি কোটি টাকার মাছ দিঘা মৎস্য নিলাম কেন্দ্র থেকে রপ্তানি করা হয়। এখান থেকে মাছ বিদেশে রপ্তানি করেও বৈদেশিক মুদ্রা আসে রাজ্যে।

Advertisements

তবে দীঘা মোহনার মৎস্য নিলাম কেন্দ্র উত্তর ভারতের সবচেয়ে বড় মৎস্য নিলাম কেন্দ্র হলেও এটি কিন্তু মান্ধাতার আমলের। আরতগুলি স্থায়ী ছাউনির অভাবে দীর্ঘদিন ধরেই পরিকাঠামো গত দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। আর এই পরিকাঠামোই আমূল পরিবর্তন আনার জন্য ১২ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৬ কোটি টাকার কাজ হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি বাকি কাজ হয়ে একেবারেই আধুনিক ভাবে সেজে উঠবে দীঘার মোহনার এই মৎস্য নিলাম কেন্দ্র।

Advertisements

দীঘায় অত্যাধুনিক মৎস্য নিলাম কেন্দ্র তৈরি করার কাজ শুরু হয় ২০২০ সালে। মৎস্য দপ্তরের আর্থিক সহযোগিতায় এই নিলাম কেন্দ্র তৈরি করছে বেনফিস। এছাড়াও সেখানে তৈরি হচ্ছে বড়সড় বরফ কল। এছাড়াও আরও উন্নত করা হচ্ছে জনপুটে বেনফিস পরিচালিত শুটকি মাছ প্রসেসিং কেন্দ্র। নতুন এই মৎস্য নিলাম কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে বর্তমান মৎস্য নিলাম থেকে কিছুটা এগিয়ে সমুদ্রের গা ঘেঁষে।

বিপুল পরিমাণ এই টাকা খরচ করে এখানে মোট ২০০ টি স্টল তৈরি করা হবে। যে ২০০ টি স্টলের মধ্যে ১৮০ টি স্টল থাকবে মাছ সংরক্ষণের জন্য এবং বাকি ২০টি স্টল থাকবে প্যাকেজিংয়ের জন্য। নিলাম এবং প্যাকেজিংয়ের জন্য আলাদা দুটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি মাছ নিলামের প্রক্রিয়া এবার ম্যানুয়ালি না করে করা হবে ই পদ্ধতিতে। এছাড়াও মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে জলের প্রয়োজন হয় এবং সেই প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হচ্ছে জলাধার। এছাড়াও হিমঘর সহ অন্যান্য পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে।

Advertisements