কেষ্ট গড়ে নদীর বালি খুঁড়লেই মিলছে সোনা, কুড়োতে হুড়োহুড়ি স্থানীয়দের

নিজস্ব প্রতিবেদন : বহু মূল্যবান হলুদ ধাতু অর্থাৎ সোনা (Gold) মাটির নিচে খনিজ সম্পদ হিসাবে রয়েছে। বহু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে খননকার্য করার পর সেই সোনা পাওয়া যায়। তবে কেষ্টগড় অর্থাৎ বীরভূম আজব ঘটনার সাক্ষী থাকলো। এখানে নদীর বালি খুঁড়লেই মিলছে সোনা। নদীর বালিতে সোনা পাওয়ার ঘটনা অবিশ্বাস্য হলেও স্থানীয়দের দাবি এমনটাই।

শুধু দাবি নয়, রীতিমতো নদী থেকে কুড়িয়ে পাওয়া সেই সকল সোনা তারা দেখাচ্ছেনও। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত শোরগোল তৈরি হয়েছে এলাকায়। বিভিন্ন জায়গা থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই নদীর চরে ভিড় জমাচ্ছেন সোনা কুড়াতে। গত তিন থেকে চার দিন ধরে এমন ঘটনা ঘটে চলেছে বলে জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে।

নদীর বালি খুঁড়ে এমন সোনা খোঁজার কাজ চলছে বীরভূমের মুরারই থানার অন্তর্গত পারকান্দি গ্রামের পাশে থাকা বাঁশলৈ নদীর চরে। সেখানে নদীর বালি খুঁড়ে সোনা খোঁজার কাজ চালাচ্ছেন আবাল বৃদ্ধ বণিতা। নদীর চরে এত সংখ্যক মানুষের ভিড় জমলেও প্রশাসনিকভাবে কাউকে এখনো পর্যন্ত ওই এলাকায় যেতে দেখা যায়নি বলেও জানা গিয়েছে।

স্থানীয় এক যুবক সুজন শেখ জানিয়েছেন, গত দুদিন আগে এখানে নদীর বালিতে সোনা পাওয়া যায়। তারপর সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষজন এসে জমা হন সোনা খোঁজার জন্য। অনেকেই অনেক কিছু পেয়েছেন। যদিও তিনি এখনো পর্যন্ত কিছু পাননি। আর বিভিন্ন মানুষের থেকে পাওয়া খবরেই তিনিও এখন এসেছেন সোনা খুঁজতে।

বাঁশলৈ নদীতে এইভাবে সোনার খোঁজ পাওয়ার বিষয়ে যা জানা গিয়েছে তা হল, ঝাড়খণ্ডের এক বাসিন্দা সুজন দাস দুদিন আগে প্রথম ওই নদীর চর থেকে সোনার অলংকার পান। তিনিই প্রথম দেখতে পাওয়ার পাশাপাশি একাধিক সোনার টিকলি সহ বিভিন্ন অলংকার পেয়েছেন। এরপর এই সেই খবর বিদ্যুতের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং গ্রামবাসীদের মধ্যে ওই নদীর চরে জমা হয়ে হুড়োহুড়ি বেঁধে যায় সোনা কুড়ানোর জন্য। এছাড়াও বেশ কয়েকটি সোনার মোহরের মতো গোল গোল জিনিস পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে স্থানীয় সূত্রে।

তবে এই সকল সোনার অলংকার কোথায় থেকে এলো তা নিয়ে কৌতুহল যাচ্ছে সবার মধ্যেই। মনে করা হচ্ছে মহেশপুর রাজবাড়ী যার অধিকাংশ পরবর্তীতে সুবর্ণরেখা নদীর জলে তলিয়ে যায়। সেই রাজবাড়ী থেকে এই সোনা সুবর্ণরেখা নদী হয়ে বাঁশলৈ নদীর চরে আসতে পারে। যদিও এই বিষয়টি সম্পূর্ণ অনুমান মাত্র।