West Bengal Leather Complex: চাকরি নিয়ে চিন্তার দিন শেষ! ১০ হাজার কোটি বিনিয়োগে সাড়ে ৭ লক্ষ কাজের সুযোগ দিচ্ছে নবান্ন

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : কাজ নেই, চাকরি নেই, এমন নানান অভিযোগ রয়েছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। দিন দিন রাজ্যের কর্মসংস্থান বিলুপ্ত হয়ে ভাতার রাজনীতি চালানো হচ্ছে বলে অধিকাংশ সময় অভিযোগ করা হয় বিরোধীদের তরফ থেকে। তবে এসবের মধ্যেই এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি খুশির খবর দিলেন আর সেই খুশির খবর অনুযায়ী আগামী দিনে লক্ষ লক্ষ চাকরি হতে চলেছে।

Advertisements

বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স (West Bengal Leather Complex) নিয়ে একটি বৈঠক হয়। যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা যারা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, মন্ত্রীরা ও সচিবরা। মূলত এই রিভিউ মিটিংয়ে বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয় এবং সেই সকল পরিসংখ্যান তুলে ধরার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের বিষয়টিকেও তুলে ধরা হয়।

Advertisements

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই লেদার কমপ্লেক্সের নাম দিয়েছেন কর্ম দিগন্ত। নামের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে কর্মসংস্থান। এই বৈঠকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বর্তমানে ১ হাজার ১৫০ একর জমির উপর ৫০০টি ট্যানারি রয়েছে। যেখানেই ইতিমধ্যেই ২৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে এবং ৫ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে। এছাড়াও ১৮৭ টি নতুন ট্যানারি এবং ১৩৯টি ফুটওয়্যার সংস্থা আসছে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে আরো ২.৫ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে দাবি করা হচ্ছে।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Tarakeswar Bishnupur Railway Project: কতটা কাজ হল, ঠিক কোন কোন জায়গায় আটকে রয়েছে তারকেশ্বর বিষ্ণুপুর রেল প্রজেক্ট

এদিনের এই বৈঠক শেষে যা জানা যাচ্ছে তাতে আরো ১০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হতে চলেছে এবং সব মিলিয়ে সাড়ে ৭ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়ে যাবে। এছাড়াও এক হাজার কোটি টাকার জমি নেওয়া হয়েছে, ৯০০ কোটি টাকার পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এসবের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষেরা আরো একটি মেগা প্ল্যানের পরিপ্রেক্ষিতে উপকৃত হবেন। যে মেগা প্ল্যানটি হল ৪৭৫ কোটি টাকার বিনিময়ে ২৮ মেগা গ্যালন পানীয় জল প্রকল্প।

নবান্নের তরফ থেকে এসবের পাশাপাশি আরও একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যে পরিকল্পনা অনুযায়ী আলিপুর জেল চত্বরে একটি লেদার মল তৈরি করা হবে। ওই লেদার মলটি তৈরি করবে হিডকো। যে মলে ৫০ শতাংশ জায়গা রাখা হবে লেদার থেকে তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রির জন্য। বাকি যে জায়গা থাকবে সেখানে বাংলার শাড়ি সহ অন্যান্য বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisements