নিজস্ব প্রতিবেদন : রেল পরিষেবা থাকার কারণে মানুষ অনেক সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াত করতে পারেন। রেল পরিষেবা থাকার কারণে মানুষ অল্প সময়ের মধ্যে অল্প খরচে গন্তব্যে পৌঁছে যান। এসবের কারণেই ভারতীয় রেল (Indian Railways) হয়ে উঠেছে ভারতীয়দের গণপরিবহনের লাইফ লাইন। আর এই লাইফ লাইন নিয়ে এবার একটি সুখবর দিলেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র।
শনিবার থেকে শিয়ালদা ডিভিশনে ১৪৩টি লোকাল ট্রেন বাতিল রাখা হয়েছে। মূলত রেলের কাজের জন্য এই বিপুল সংখ্যক ট্রেন বাতিল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এত সংখ্যক ট্রেন বাতিল থাকার কারণে সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিতে যাওয়া চাকরি প্রার্থীরা থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজের সঙ্গে যুক্তরা বেশ সমস্যায় পড়েছেন। বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো জলঘোলা চলছে। তবে এরই মধ্যে শিয়ালদা শাখায় ৬৪টি মত লোকাল ট্রেন বাড়বে বলেই জানালেন কৌশিক মিত্র।
কবে থেকে বাড়বে লোকাল ট্রেন? শনিবার এবং রবিবার মূলত যে সকল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে তার পিছনে রয়েছে দমদম জংশনে ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিংয়ের কাজ। এই দমদম জংশন হল পাঁচটি রুটের জংশন পয়েন্ট। যে কারণে এই জংশন খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং এর আধুনিকীকরণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, এখানে ১৯৯৬ সালের সিস্টেম। যে কারণে এই সিস্টেমের আধুনিকীকরণ করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন ? AC Local Train: এবার পুরোটাই এসি! হাওড়া-শিয়ালদহ ডিভিশনের লোকাল ট্রেন নিয়ে বড় ঘোষণা
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্রের কথা অনুযায়ী, এখন যে সিস্টেম রয়েছে সেই সিস্টেম অনুযায়ী ২৮০টি চলাচল করানো যায়। নতুন ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং হয়ে গেলে ৩৪৪ টি ট্রেন চলাচল করানো সম্ভব হবে। ফলে বেড়ে যাবে ট্রেনের সংখ্যা। এছাড়াও গতিবেগ বাড়বে ট্রেনের। পাশাপাশি ঝড়-বৃষ্টির সময় যে সকল সমস্যা হয় সেই সকল সমস্যা হবে না। নতুন সিস্টেমে যদি কোথাও কোন রকম ত্রুটি হয় তা মনিটারিং সিস্টেমের মাধ্যমে খুব তাড়াতাড়ি জেনে নেওয়া সম্ভব হবে।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্রের কথা অনুযায়ী, দমদম জংশনে যে ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলছে সেই কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরই ট্রেন সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। এমন পরিস্থিতিতে এখন এই কাজ চলার কারণে সাধারণ যাত্রীদের কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। তবে সাময়িক এই অসুবিধায় সাধারণ মানুষদের সহযোগিতার কাম্য করছে রেল। কেননা এমন কাজ সমাপ্ত হলেই রেল পরিষেবায় চলে আসবে আমূল পরিবর্তন, আরও কম সময়ে, আরও সহজে যাত্রীরা নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন।