রসগোল্লাকে গোল হালিমের, GI তালিকায় নতুন নতুন নাম

Antara Nag

Published on:

ভোজন-রসিক মানুষদের কাছে প্রায় সব খাবারই পছন্দের। কলকাতার মানুষদের কাছে যেমন রসগোল্লা প্রিয়, বিকানের মানুষদের কাছে যেমন ভুজিয়া প্রিয়, তেমনি হায়দ্রাবাদের মানুষের কাছে প্রিয় খাবার হল হালিম। শুধু হায়দ্রাবাদের মানুষ নয় পৃথিবীর যে কোনো মানুষ যদি এই সুস্বাদু খাবার খায় তা কোনদিনই ভুলতে পারবেনা। জানা গিয়েছে, এই হায়দ্রাবাদী হালিম কলকাতার রসগোল্লাকেও হার মানায়।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সাধারণত রমজান মাসেই এই খাবার খাওয়া হয়। এছাড়া এও জানা গিয়েছিল যে, রমজান মাসে উপোস ভাঙ্গার জন্য এই হালিম খাওয়ার প্রথা ছিল। তবে এখন ৩৬৫ দিনই এই হালিম খাওয়া হয়।

এও জানা গিয়েছিল, একবার শিল্প এবং বাণিজ্য মন্ত্রক তালিকাভুক্ত বিভিন্ন খাবারের ভোটাভুটির আয়োজন করেছিল। সেই আয়োজনে দেশ-বিদেশের মানুষদের ইন্টারনেটে মত জানতে চেয়েছিল। তবে সেই ভোটাভুটিতে বোঝা গিয়েছে কলকাতার রসগোল্লা বা বিকানের ভুজিয়া সবকিছুকে ফেলে মানুষেরা সেরা হিসেবে বেছে নিয়েছে হায়দ্রাবাদের এই হালিম খাবারকে।

জানা গিয়েছিল, অগাস্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত সব জায়গায় ভোটাভুটি লাইন খোলা ছিল ৩ মাস। সেই ভোটের মাধ্যমে হালিম সব জায়গায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। শুধু হালিম নয়, কৃষি ক্ষেত্রে ওড়িশার কান্ধামালের হলুদও হয়ে উঠেছে সবার প্রিয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় হলুদ খুবই কার্যকারী।

শুধু হলুদ বা হালিম নয়, এছাড়া আরো অন্যান্য জিনিসও সব জায়গাতেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যেমন হস্তশিল্পে সেরা হয়েছে তামিলনাড়ুর থানাজাভুর আর্ট প্লেট। এছাড়া মাইসুরুর চন্দন সাবান এবং আরো অনেক কিছুই সার্বভারতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে হায়দ্রাবাদি হালিম সবচেয়ে জনপ্রিয়। এই খাবারের কদর করেননি এরকম মানুষ নেই। ২০১০ সালে গম-ডাল-মাংস এবং কিছু মসলা দিয়ে তৈরি এই হালিম খাবারকে GI ট্যাগ দেওয়া হয়। ভারতে GI ট্যাগ পাওয়া এই হালিম খাবারই হল ভারতের প্রথম আমিষ খাবার।