Hyundai is offering a bang on the i20 facelift ahead of Puja: ভারতীয় বাজারে হুন্ডাই লঞ্চ করলো তার নয়া প্রিমিয়াম হ্যাচব্যাক i20 ফেসলিফ্ট (Hundai i20 facelift)। গাড়িটিতে রয়েছে দুর্দান্ত মসৃণ ডিজাইন এবং পর্যাপ্ত সুরক্ষা। যখনই নতুন গাড়ি বাজারে লঞ্চ করেছে তখনই পুরনো টার্বো-পেট্রল ভেরিয়েন্ট বন্ধ করে দিয়েছে কোম্পানি। সাধারণ ছাপোষা মধ্যবিত্তরা সর্বদাই পছন্দ করে i20। এবার তা বাজারে এলো আরো দুর্দান্ত ফিচার নিয়ে।
হুন্ডাই বিভিন্ন ফিচার যোগ করে গাড়িটিকে (Hundai i20 facelift) নতুনরূপে সামনে এনেছে, যেমন নতুন ফিচার্স, কসমেটিক আপডেট ও সেফটি এগুলোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে। কেমন হবে নতুন ফিচারস? সবার কেমন লাগবে নতুন গাড়িটি এখন শুধু সেটাই দেখার অপেক্ষা। কিন্তু তার আগে খুঁটিনাটি জেনে নেওয়া যাক।
আমূল পরিবর্তন এসেছে গাড়ির (Hundai i20 facelift) বাহ্যিক ডিজাইনে। গাড়ির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন ফ্রন্ট বাম্পার, LED হেডলাইট ও LED DRL। এছাড়া Z আকারের LED টেল লাইট, ১৬ ইঞ্চি ডায়মন্ড কাট অ্যালয় হুইল এবং রিয়ার বাম্পারেও ফ্রন্ট বাম্পারের মতো নতুন সিলভার রংয়ের স্কিড প্লেট যোগ হয়েছে। এমনকি রঙের ক্ষেত্রেও এসেছে ৬ রকমের ভ্যারিয়েন্ট, টাইটান গ্রে, টাইফুন সিলভার, স্টারি নাইট, অ্যামাজন গ্রে, অ্যাটলাস হোয়াইট, ফায়ারি রেড, অ্যাটলাস হোয়াইট + ব্ল্যাক রুফ এবং ফায়ারি রেড + ব্ল্যাক রুফ। পাশাপাশি থাকবে BOSE 7 স্পিকার সাউন্ড সিস্টেম এবং ১০.২৫ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেমের জন্য ফিজিক্যাল ভলিউম নব। এক্সটিরিয়র ও ইন্টিরিয়রের নতুন বৈশিষ্ট্য যোগ করলেও ইঞ্জিন ও পারফরম্যান্সে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
কোম্পানির জানিয়েছে যে, নতুন এই গাড়িতে (Hundai i20 facelift) আছে ৬০টির বেশি কানেক্টেড ফিচার্স, থাকছে VR কমান্ড, ৫২ হিংলিশ (হিন্দি+ইংলিশ) কমান্ড, ১০টি আঞ্চলিক ও ২ আন্তর্জাতিক ভাষা সাপোর্ট এবং USB টাইপ-সি চার্জার। বাইরের ডিজাইনের পরিবর্তন হলেও ইন্টিরিয়র ফিচার্সও প্রায় একই রেখেছে কোম্পানি। কেবিনের ড্যাশবোর্ডে তেমন একটা আলাদা কিছু করা হয়নি। কিন্তু যোগ হয়েছে নতুন কিছু সুবিধা যেমন অ্যামবিয়েন্ট লাইটিং যা কেবিনের ভিতর আরো মনোরম পরিবেশ গড়ে তোলে।
সুরক্ষার জন্য গাড়িতে কি নতুন সংযোজন হলো? ৬টি এয়ার ব্যাগ, ইলেক্ট্রনিক স্টেবেলিটি কন্ট্রোল, ভেহিকেল স্টেবেলিটি ম্যানেজমেন্ট, অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম, থ্রি পয়েন্ট সিটবেল্ট ও সিটবেল্ট রিমাইন্ডার, টায়ার প্রেশার মনিটরিং সিস্টেম, রিয়ার পার্কিং ক্যামেরা, অটোমেটিক হেডল্যাম্প ইত্যাদি ২৬ রকমের ফিচারস যুক্ত হয়েছে সুরক্ষার জন্য। এবার আসা যাক গাড়ির দামে। বেস মডেলের এক্স-শোরুম দাম ৬.৯৯ লাখ টাকা এবং টপ-স্পেক মডেলের এক্স-শোরুম দাম ১১.১ লাখ টাকা। এক্স-শোরুম দামের বিচারে এই গাড়ি মারুতি সুজুকি ব্যালেনোর বেস মডেলের থেকে প্রায় ৪০,০০০ টাকা দামি।