নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ত্রাসে এখন মানুষের দিন কাটছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতেই লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে ৩০শে এপ্রিল পর্যন্ত। কারণ ঘরে থাকাটাই এখন নিরাপদ। মানুষ যতক্ষণ ঘরে থাকবে ততক্ষণই সে সেফ কিন্তু কিছু অসচেতন মানুষ এটা বোঝেন না। তারা অকারণে অপ্রয়োজনে বেড়িয়ে পড়েন রাস্তায় আর এইসব অসচেতন মানুষের জন্যই পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর হতে হচ্ছে। পুলিশকে টহল দিতে হয় রাস্তায় রাস্তায়। মানুষ এত অবুঝ যে নিজের ভালোটুকুও ওরা বোঝেনা!
কিন্তু এই সকল অবুঝ কান্ড জ্ঞানহীন মানুষের পাশাপাশিই আবার আছে কতর্ব্যপরায়ন মানুষ। তারা কঠোর ভাবে কর্তব্য পালন করছেন করোনা মোকাবিলায়। করোনা সংক্রমণ রুখতে গাড়ির মধ্যেই দিন কাটান কর্তব্যরত ডাক্তার আবার অবসরের পরও শুধুমাত্র সেবা করার উদ্দেশ্যই ছুটে আসেন কিছু নার্স এমন দৃষ্টান্তও চোখে পড়েছে। এবার আপনাদের বলবো একজন IAS অফিসার শ্রীজনার কথা।
২০১৩ সালে IAS হয়েছিলেন তিনি। এখন তিনি বিশাখাপত্তনম পুরসভার কমিশনারের পদের দায়িত্বভার সামলাতে ব্যস্ত। এই বছরের প্রথমদিকে তার সন্তানের জন্ম হয়। এরপর চাকুরীরতা প্রতি নারীই মাতৃত্বকালীন ছুটি পেয়ে থাকেন ছয় মাস। নিজের শরীরের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি সন্তানের দেখভালের জন্যই এই ছুটি বরাদ্দ করা হয়।
কিন্তু শ্রীজনা সাফ জানিয়েছেন, দেশের এই চরম সংকটের সময়ে মাতৃত্বকালীন ছয় মাসের ছুটি তিনি নেবেন না। তিনি নিজের কাজ করে যাবেন। হ্যাঁ তিনি এই দুঃসময়ে অন্ধ্রপ্রদেশের সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করবেন। শ্রীজনা তার একরত্তি শিশুকে কোলে নিয়েই রোজ অফিস আসছেন। শ্রীজনা কাজের পাশাপাশি সামলাচ্ছেন নিজের সন্তানকেও। নিজের সন্তানের নিরাপত্তার কথাও তিনি ভাবছেন। শিশুর হাইজিনের দিকেও তার তীক্ষ্ণ নজর আছে। বাচ্চার খাওয়াদাওয়া বা কোনো কিছুতেই যাতে কোনোরকম সমস্যা না হয় তার জন্যই তিনি বাচ্চাকে নিয়েই অফিসে আসেন।
An extraordinary feather of @IASassociation. 2013 batch IAS Mrs @GummallaSrijana Commissioner @GVMC_OFFICIAL refused to take 06 months maternal leave and joined back her office with one month old baby in lap. Truly inspiring to all #CoronaWarriors #COVID__19 pic.twitter.com/mzbPsUyTco
— Chiguru Prashanth Kumar (@prashantchiguru) April 11, 2020
বাচ্চাকে নিয়ে শ্রীজনার কাজ করার ছবি ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল সাইটে। চিগুরু প্রশান্ত কুমার নামে এক ব্যক্তি ছবিটি শেয়ার করেন। ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “দেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে ৬ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি না নিয়েও এই IAS অফিসার তার এক মাসের সন্তানকে কোলে নিয়ে কাজে এসেছেন।”