নিজস্ব প্রতিবেদন : নৈহাটির বড় মা’র (Boro Maa Naihati) পুজো এবার ছিল ১০০ বছরের। প্রতিবছরই এখানকার এই বড় মার টানে দূর দূরান্ত থেকে ভক্তের আসতে দেখা যায়। তবে ১০০ বছর পূর্তিকে ঘিরে সেই উৎসাহ উন্মাদনা বেড়ে গিয়েছিল কয়েকগুণ। বিভিন্ন জায়গা থেকে কাতারে কাতারে আগমন হয়েছিল ভক্তদের। আর এসবের পর পুজো শেষে বৃহস্পতিবার বিসর্জন দেওয়া হয় বড় মাকে।
বড় মার বিসর্জনের ক্ষেত্রেও আলাদাভাবে জাঁকজমক লক্ষ্য করা যায়। বিসর্জনের আগেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছিল বিসর্জনের প্রস্তুতি পর্ব। সেইমতো বড় মায়ের সমস্ত অলংকার খুলে ফেলা হয় এবং তার পরিবর্তে তাকে সাজানো হয় ফুলের বিভিন্ন অলংকার দিয়ে। এরপর নির্ধারিত সময় অনুসারে দুপুর তিনটের পর বের করা হয় শোভাযাত্রা। যে শোভাযাত্রায় রীতিমত জনসমুদ্র লক্ষ্য করা যায়।
বড় মাকে নিয়ে মানুষের মধ্যে আবেগের কম নেই। সেই আবেগ প্রতিবছরই ফুটে উঠতে দেখা যায় পুজো থেকে শুরু করে বিসর্জন পর্ব সবেতেই। সেই আবেগ এবারে ধরা পড়েছে বিসর্জনের সময়। সে সকল ভক্তরা বড়মাকে এই বছরের জন্য শেষ প্রণাম করে বিদায় জানাতে এসেছিলেন তাদের অনেকের চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরতে দেখা যায়। আবেগের মধ্যেই এই বছরের জন্য বিদায় দেওয়া হয় বড় মাকে।
শোভাযাত্রার মাধ্যমে বড় মাকে বিসর্জনের জন্য আনা হয় নৈহাটির গঙ্গার ঘাটে। হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে যাতে কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল এবং প্রশাসনিকভাবে সমস্ত রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। বিসর্জনের সময় মন্দির কমিটির সদস্যরা ছাড়া আর কাউকে বড় মায়ের মূর্তির ধারে পাশে আসতে দেওয়া হয়নি।
বড় মায়ের ১০০ বছর পূর্তির আগে এই বছর নতুন মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এবং সেখানেই বড় মায়ের কষ্টিপাথরের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যেটি সারা বছর থাকবে এবং ভক্তরা প্রতিদিনই নির্ধারিত সময়ে এসে বড় মায়ের দর্শন এবং পুজো দিতে পারবেন।