ATM-এ টাকা তুলতে গিয়ে কার্ড আটকে গেছে, এই কাজটি না করলেই সব যাবে

এটিএম থেকে টাকা তুলতে গিয়ে মেশিনে কার্ড আটকে যাওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে এর জন্য খুব বড়ো বিপদ হতে পারে আপনার। বড় কোনো আর্থিক প্রতারণার জালে জড়িয়ে যেতে পারেন আপনি। সম্প্রতি সাইবার সেল, এক আন্তঃরাজ্য প্রতারণা চক্রের খবর পেয়েছে। যে চক্রের জন্য এটিএম থেকে টাকা তোলার সময় প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেক সাধারণ মানুষ।

এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ছয় জনকে জেল ফেফাজতে নিয়ে নিয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে সিম কার্ড, এটিএম কার্ড এবং প্রচুর নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের মইনপুরী এলাকায়। রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, এটিএম থেকে অর্থ চুরির অভিযোগে ক্রাইম ব্রাঞ্চ শাখা ছয়জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তদের নাম সুমিত কুমার, গজেন্দ্র সিং, অনুপ, মবৃহম্মদ মান্টু। প্রতারণা চক্রের প্রধানের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের কাছ থেকে নগদ ৭৫ হাজার টাকা, ৪৮টি এটিএম কার্ড, ৬৫ সিমকার্ড, ২টি বেআইনি পিস্তল, ৬টি মোবাইল ফোন ও একটি গাড়ি পাওয়া গিয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ তদন্তে নামে। তার পর তারা লক্ষ্য করেন এই সকলেরই এটিএম কার্ড মেশিনে আটকে যাওয়ার পর টাকা চুরি হয়েছে। সাইবার সেলের বিশেষজ্ঞরাই রহস্যের সমাধান করেন।

সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের মইনপুরীর গোপালনগরের পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট কমলেশ দীক্ষিত জানিয়েছেন, এই প্রতারকরা শহরের নানান প্রান্তের রক্ষীবিহীন এটিএমগুলিকে আগে বেছে নিত, তারপর এটিএমের কার্ড স্লটে আঠা লাগিয়ে দিত। যখনই কোনও ব্যক্তি এটিএম থেকে টাকা তোলার জন্য কার্ড ঢোকাতেন, তখনই কার্ড আটকে যেত। সেই সময়ই পিছনের জন সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতেন। আর তিনি একটি হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করায় কথা বলতেন। সেখানে ফোন করলে তারা ব্যাঙ্ক ও এটিএম কার্ডের যাবতীয় তথ্য জেনে নিত। এরপর বলা হত যে কার্ড ব্লক হয়ে গেছে। ঘণ্টা খানেক বাদেই গ্রাহক টের পেত যে তার টাকা খোয়া গেছে।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতারকরা দূর থেকে দাঁড়িয়ে তাদের নিশানাকে বেছে নিত। তারপর একজন ওই ব্যক্তির পিছনে লাইনে দাঁড়াতেন, আরেকজন ভুয়ো হেল্পলাইনের কর্মী হিসাবে কথা বলতেন। তিনিই গ্রাহকের কাছ থেকে যাবতীয় তথ্য হাতিয়ে নিয়ে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিতেন। এক্ষেত্রে যদি কোন এটিএম কাউন্টারে এমন ঘটনা ঘটে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ওই গ্রাহককে নিজের এটিএম কার্ড ব্লক করে দিতে হবে। ব্লক না করলেই খোয়া যেতে পারে সর্বস্ব।