নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের মাথায় নতুন করে হাত পড়তেই পারে। অন্ততপক্ষে এবার শিক্ষা দপ্তর যে পদক্ষেপ নিতে চলেছে তাতে বহু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের টাকা ফেরত দিতে হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যদি ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে কোন রকম অদল বদল হয় তার ওপর ভিত্তি করে।
প্রাথমিকে যে সকল শিক্ষক শিক্ষিকারা পড়ুয়াদের পাঠদান করে থাকেন তাদের মধ্যে কোন কোন শিক্ষক-শিক্ষিকা এ ক্যাটাগরির সেই বিষয়টি জানতে এবার খোদ স্কুল শিক্ষা কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সচিবরা। শুধু তাই নয় এর পাশাপাশি কেউ কেউ আবার এই তথ্য জানার জন্য স্কুল সাব-ইন্সপেক্টরদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রয়োজনে প্রাথমিক শিক্ষকদের সার্ভিস বুক রিকাস্ট করতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক স্কুলে চাকরির ক্ষেত্রে যে নিয়ম রয়েছে সেই নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষক শিক্ষিকারা নিজেদেরই চাকরি জীবনের ১৮ বছর পার করার পর একবারই সুযোগ পেয়ে থাকেন আর সেই সুযোগ হল পদোন্নতি। এর পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন হয় হাইস্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের বেতন স্কেলের সমান। এক্ষেত্রে কোন শিক্ষক শিক্ষিকা এ ক্যাটাগরির এবং কারা নন তা বেছে নিতে তৎপরতা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন ? Karmashree Prakalpa: কেন্দ্রকে টেক্কা! বাংলায় চালু নতুন কার্ড! বছরে গ্যারান্টি মিলবে ১২৫০০ টাকা
রাজ্য সরকারের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত যে সকল শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিযুক্ত হয়েছিলেন তাদের বড় অংশ মাধ্যমিক পাস এবং এক বছরের প্রশিক্ষণের ভিত্তিতে নিযুক্ত হয়েছিলেন। এক্ষেত্রে যে সকল শিক্ষক শিক্ষিকারা নিযুক্ত হয়েছিলেন তারা এ ক্যাটাগরির শিক্ষক-শিক্ষিকা হিসাবে চিহ্নিত হয়ে আসছেন। পরবর্তীতে প্রশিক্ষণ করা হয় দু’বছর। যে কারণে অনেক শিক্ষক রয়েছেন যারা এক বছরের ব্রিজ কোর্স করে শিক্ষকতার প্রশিক্ষণ আপ-টু-ডেট করেন।
কিন্তু এবার যদি ওই সকল শিক্ষক শিক্ষিকাদের কেউ এ ক্যাটাগরির শিক্ষক-শিক্ষিকা হিসাবে গণ্য না হলে সার্ভিস বুক রিকাস্ট করাতে হবে। আর এমনটা যদি হয় তাহলে সেই সকল প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকাদের অন্ততপক্ষে তিন থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ফেরত দিতে হবে। মূলত ক্যাটাগরি এই বিভাগ নির্বাচন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণ কোর্সের উপর ভিত্তি করে করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে যদি বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকা এ ক্যাটাগরির শিক্ষক-শিক্ষিকা হিসেবে গণ্য না হন তাহলে বেতন কাঠামোয় বড় পরিবর্তন আসতে পারে।