করোনা বাড়লেও আশার আলো দেখাচ্ছে WHO

SHARMISTHA CHATTERJEE

Updated on:

Advertisements

শর্মিষ্ঠা চ্যাটার্জী : ছন্দের মাঝে হঠাৎ যেন ছন্দপতন। নতুন বছরের শুরুতে করোনাকে জয় করে আমরা নতুন জীবনের সূচনা করতে পারবো আশা করেছিলাম কিন্তু হঠাৎ বিধি বাম! আবির্ভাব হলো করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের। একসময় ডেল্টার যেমন বাড়বাড়ন্ত হয়েছিল তেমনই সারা বিশ্ব ওমিক্রনের কবলে পড়তে চলেছে খুব শীঘ্র।

Advertisements

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়াসুস কিছুদিন পূর্বে এই নিয়ে তীব্র আশঙ্কা প্রকাশ করলেও WHO এর প্রধান বছরের সূচনাতেই যেন আশার আলো দেখালেন। করোনা ভাইরাসের পরাজয় ঘটতে পারে এই ২০২২ সালেই এমনই বিবৃতি দিয়েছেন তিনি। তবে সব দেশ একত্রে লড়াই না চালালে করোনাকে জয় করা কোনোভাবেই সম্ভব হয়ে উঠবেনা।

Advertisements

সম্প্রতি তিনি তাঁর দেওয়া এক বিবৃতিতে টিকাদানের ক্ষেত্রে অসমবন্টনের বিষয়টি সামনে এনেছেন। পূর্বেও তিনি এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলেও এবার রীতিমতো সরব হয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ এবং টিকা জমিয়ে রাখার মানসিকতা বাধ সাধছে টিকার সমবন্টনের ক্ষেত্রে।

Advertisements

কোনো কোনো দেশের ক্ষেত্রে টিকা জমিয়ে রাখার মানসিকতার কারণে টিকার সমবন্টন ঠিকভাবে হচ্ছেনা আর যার ফলস্বরূপ মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে ওমিক্রন। তিনি সমস্ত দেশের প্রতি সাবধান বাণী করেছেন, যদি ভবিষ্যতে এই অসাম্য চলতে থাকে তবে আরও নানান প্রজাতির আবির্ভাব ঘটতে পারে যাদের সাথে লড়াই করা আমাদের সাধ্যের বাইরে। এক্ষেত্রে হাতে হাত রেখে নতুন বছরে সবাইকে একসাথে লড়াই করতে হবে।

বর্তমানে ওমিক্রনের দাপটে সারা বিশ্ব ভয়ে কাঁপছে। করোনার মানচিত্র দেখলেই একথা স্পষ্ট ভারতের অবস্থা কতোটা শোচনীয়। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে দেশে। গত সপ্তাহে যা ছিল সাত হাজারের আশেপাশে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ চিত্র বদলে গিয়ে দৈনিক ২২ হাজার আক্রান্ততে দাঁড়িয়েছে। তবে হু প্রধান ২০২২ সাল নিয়ে প্রথম থেকেই আশাবাদী তিনি করোনা পরাজয়ের সাল হিসেবেই ভাবছেন।

Advertisements