এবার থেকে কোনো দোকানি যদি দাঁড়িপাল্লা দিয়ে জিনিস মাপেন তাহলে দোকানির ওপর ঘনিয়ে আসতে পারে বিপদ। কারণ এবার যদি কোনো ক্রেতা এই বিষয় নিয়ে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরে অভিযোগ জানান তাহলে বাতিল হবে দোকানের লাইসেন্স (Trade Licence)।
এবার থেকে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের (Consumer forum) আইন অনুযায়ী, কোনও দোকানি হাতে ধরে দাঁড়িপাল্লা ব্যবহার করতে পারবেন না। কারণ তাতে সঠিক ওজন মাপা যায় না। তাই এখন থেকে সমস্ত দোকানেই ইলেকট্রনিক ওজন মাপার যন্ত্র (Electric scale) রাখার কথা জানিয়েছে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর। বেশির ভাগ জায়গায় এখনও একাধিক বাজারে হাতে ধরে দাড়িপাল্লা ব্যবহার করতে দেখা যায় বিক্রেতাদের। বিশেষ করে সবজি, মাছের বাজারে এমনটা চোখে পড়ে হামেশাই।
এদিকে কলকাতা পুরসভার (Calcutta corporation) মেয়র পারিষদ (বাজার) আমিরুদ্দিন ববি জানিয়েছেন ৪৬ টা বাজার রয়েছে পুরসভার। ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের নিয়ম মেনে তারাও বাজারে পরিদর্শনে যাচ্ছেন। মেয়র পারিষদের কথায়, ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী হাতে ধরে দাড়িপাল্লা ব্যবহার বেআইনি। সেকথা তারা বাজারে গিয়ে সকলকে জানাচ্ছেন।
সম্প্রতি ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, ধীরে ধীরে সমস্ত দোকানেই রাখতে হবে ইলেকট্রনিক ওজন যন্ত্র (Electric scale)। তার জন্য শুরু হয়ে গিয়েছে পদক্ষেপ। তবে যাঁরা এখনও দাড়িপাল্লা বাটখারা ব্যবহার করছেন তারা আর দাড়িপাল্লায় কাজ চালাতে পারবেন না কোনো ভাবেই। ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র উপভোক্তা অধিকার দিবসে জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে সকল ক্রেতা কে ইলেকট্রনিক দাড়িপাল্লা (Electric scale) ব্যবহার করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এই ব্যবস্থার ফলে সাধারণ মানুষ কম ঠকবে। এমনকি অনলাইনে কিছু কেনার পর বাড়িতে জিনিস ওজন করে নিতে বলছেন মন্ত্রী। তাঁর কথায়, অনলাইনে এক কেজি আলু কিনলেন। বাড়িতে ওজন করে দেখলেন সাতশো গ্রাম। এমন ঘটনার স্বীকার হলে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরে জানান। এমন ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে অনলাইন সংস্থার বিরুদ্ধেও।
শুধু তাই নয়, মুদির দোকানে যদি কোনও জিনিসের উপর দাম না লেখা থাকে তবে সে জিনিসের মূল্য নিয়ে দরদাম করতে পারেন ক্রেতা। ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রর কথায়, যেকোনও পণ্যের উপরে এমআরপি লেখা বাধ্যতামূলক। তবে লেখা না থাকলে ক্রেতা বিক্রেতার কথা অনুযায়ী দাম দিতে বাধ্য নয়।