Vomit of Whale: তিমির বমি বিকোয় কোটি কোটি টাকায়! কিন্তু কেন এত দাম

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

You know the price of whale vomit, your eyes will roll: কাউকে বমি করতে দেখলে এমন অনেকেই আছেন যাদের বমি পেয়ে যায়। কিন্তু স্বপ্নেও হয়তো কখনো ভাবেননি কোন প্রাণীর বমি বাজারে এত দামে বিক্রি হতে পারে। কি অবাক হচ্ছেন? অবাক হলেও ঘটনাটি কিন্তু একেবারে সত্যি। তিমি মাছের বমি বাজারে বিক্রি হয় তাও আবার কোটি কোটি টাকাতে। এটি সত্যি মানুষের কাছে একটি দুর্লভ বস্তু তাই এর দাম এত বেশি। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই আপনার মনে প্রশ্ন উঠতে পারে কি আছে এতে যাতে তিমি মাছের বমির (Vomit of Whale) এত দাম হয়?

Advertisements

ভালো ভাষায় তিমি মাছের বমিকে (Vomit of Whale) বলা হয় অ্যাম্বারগ্রিস। এই তিমি মাছের পাকস্থলীতে যে অ্যাম্বারগ্রিস (Ambergris) তৈরি হয় সেটি তৈরি হতে সময় লেগে যায় বছরের বেশি। জলে তিমি মাছ হাজার হাজার স্কুইড খেয়ে থাকে। এই স্কুইডগুলো তিমি মাছের পাকস্থলী ও অন্ত্রের মাঝখানে কোন একটি নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে জমা হয়। সেই জমে থাকা স্কুইডগুলো দীর্ঘদিন পরে অ্যাম্বারগ্রিসে পরিণত হয়। সেই অ্যাম্বারগ্রিস তিমি কোন এক সময় মুখ থেকে বার করে দেয়। অ্যাম্বারগ্রিস আসলে খানিকটা মোমের মতো পিচ্ছিল পদার্থ হয়।

Advertisements

তিনি যখন প্রথম এই অ্যাম্বারগ্রিস মুখ থেকে বার করে তার গন্ধ কিন্তু খানিকটা বাজে হয়। কিন্তু সমুদ্রের তীরে আসার পর যখন এটি শক্ত হয়ে যায়, তখন খুবই সুগন্ধ বের হয়। কিন্তু কি কাজে লাগে এই অ্যাম্বারগ্রিস? যেকোনো দামি সুগন্ধি তৈরি করতে এর চাহিদা অতুলনীয়। অ্যাম্বারগ্রিস শুধুমাত্র চেয়ে সুগন্ধি তৈরিতে ব্যবহার করা হয় তা নয় বিশ্বের বিভিন্ন ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রেও এর ব্যবহার অনস্বীকার্য। এতক্ষণে খানিকটা বোঝা যাচ্ছে কেন তিমি মাছের বমির (Vomit of Whale) দাম এত বেশি। এমনকি বিজ্ঞানীরা তিমি মাছের বমি কে “ভাসমান সোনা” বলেও আখ্যা দেন।

Advertisements

বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে, তিমি মাছের বমিতে অ্যালকোহল উপস্থিত থাকে। কিন্তু প্রথমে এই বমির গন্ধ খানিকটা মলের মত হয়। ধীরে ধীরে এটি কাদা মাটির মতো রূপ নিতে থাকে। একদম শেষে জলে থাকা অবস্থায় এটি ঠান্ডা হয়ে শক্ত পদার্থে পরিণত হয়। ভাবলে অবাক হবেন আন্তর্জাতিক বাজারে এর মূল্য কোটি টাকায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় কিছু অবৈধ পাচারকারী এটিকে পাবার জন্য অবৈধভাবে তিমি মাছ শিকার করে থাকে।

কিন্তু ভারতীয় আইন অনুযায়ী, অ্যাম্বারগ্রিস অর্জন করা কিংবা বিক্রি করা দণ্ডনীয় অপরাধ। সম্প্রতি ভারতের রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তর (DRI) একটি চোরাকারবারিদের ব্যবসা ফাঁস করেছে যারা কিনা অ্যাম্বারগ্রিস পাচার করতো। এটি হয়েছে ডিআরআই তামিলনাড়ুর তুতিকোরিন উপকূলে। সেখানে ১৮. ১ কেজির একটি অ্যাম্বারগ্রিস উদ্ধার করা হয়েছে যার বাজারদর হল ৩১.৬৭ কোটি টাকা।

Advertisements