নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমানে বাজারের যা পরিস্থিতি তাতে সবজি বাজারে হাত দেওয়া দায় হয়ে পড়েছে মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে টমেটো এখনও আকাশছোঁয়া। লঙ্কার দাম এখন কিছুটা হলেও কমেছে। তবে এখনো পরিস্থিতির সেই জায়গায় আসেনি যে সব স্বাভাবিক হওয়ার মতো। যদিও তুলনামূলক দামের নিরিখে অন্যান্য সবকিছুকে টেক্কা দিচ্ছে ইলিশ (Ilish)।
বাজারের দিকে এখন নজর রাখলে দেখা যাবে, আগের তুলনায় চিকেনের দাম কমেছে। কিন্তু চিকেনের দাম কমলেও একবিন্দু দাম কমেনি মটন অর্থাৎ খাসির মাংসের। বিভিন্ন জায়গার ভিত্তিতে খাসির মাংসের ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হয়। সেই জায়গায় এখন বর্ষার রূপোলি ফসল অর্থাৎ ইলিশ (Hilsa) যে দামে পাওয়া যাচ্ছে তা মাছের ভাতে বাঙ্গালীদের কাছে একেবারেই পোয়াবারো।
পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা থেকে শুরু করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এখন টন টন ইলিশ মাছ উঠতে দেখা যাচ্ছে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই ইলিশ মাছের দাম তুলনামূলক অনেক কম রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্যজীবী থেকে শুরু করে মৎস্য ব্যবসায়ীরা। আগামী দিনে যদি একইভাবে ইলিশের যোগান থাকে তাহলে দাম আরও কম হতে পারে বলেও জানানো হচ্ছে। তবে ইলিশের এই দাম কমে যাওয়া খুব একটা ভালো লক্ষণও নয়। কেননা ইলিশ কম দামে মিললেও সেই স্বাদ কোথায় যেন কোথাও হয়ে গিয়েছে।
বর্তমানে যে বাজারদর রয়েছে তাতে বিভিন্ন জায়গায় ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কিলো দরে। এই সকল ইলিশের ওজন ৩৫০ থেকে ৪৫০ গ্রাম। কোন কোন জায়গায় এই ধরনের ইলিশ ৬০০ টাকা কিলো দরেও বিক্রি হচ্ছে। আবার যে সকল ইলিশের ওজন রয়েছে ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম সেই সকল ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকা কিলো দরে। ওজনের আরেকটু বেশি অর্থাৎ এক কিলো ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকা কিলো দরে।
আবার খোকা ইলিশ বিক্রি নিষিদ্ধ থাকলেও বিভিন্ন বাজারে তা বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে এবং সেগুলি আরও কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। খোকা ইলিশের দাম এখন ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কিলোও চলছে জায়গার ভিত্তিতে। এছাড়াও বাজারে এখন অন্যান্য বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ আগের তুলনায় অনেক সস্তায় পাওয়া যাচ্ছে।