আমফানের পরেই তীব্র দাবদাহ, ইঙ্গিত দিচ্ছে হওয়া অফিস

নিজস্ব প্রতিবেদন : এই একটি আমফান ঘূর্ণিঝড় আমফান লন্ডভন্ড করে দিয়ে গেছে গোটা রাজ্যকে। অভূতপূর্ব পরিস্থিতি, এর আগেও পশ্চিমবঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ের সম্মুখীন হলেও এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন আগে কখনো হতে হয়েছে বলে কারোর মনে পড়ছে না। ঘূর্ণিঝড় আমফানকে যতটা ভাবা হয়েছিল তার থেকেও বেশি দাপট দেখিয়ে গেছে। তাইতো এখনো চারদিনেও স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফেরেনি রাজ্যের সাত জেলা। এমনকি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে রাজ্য সরকারকে সেনার দ্বারস্থ হতে হয়। গতকালই সেনার দল কাজ করতে শুরু করেছে। আর এরই মাঝে IMD বা India Meteolorogical Department তীব্র দাবদাহ নিয়ে আরও এক সর্তকতা জারি করল।

ঘূর্ণিঝড় আমফানের পরেই তীব্র থেকে তীব্রতর দাবদাহে পুড়তে পারে ভারতের একাধিক এলাকা। এমনটাই জানানো হয়েছে IMD বা India Meteolorogical Department-এর তরফ থেকে। জানানো হয়েছে তীব্র দাবদাহ দেখা যেতে পারে উত্তর পশ্চিম, মধ্য, পূর্ব ও দক্ষিণ ভারতের বিপুল পরিমাণ এলাকায়। আর এই পূর্বাভাসের আগাম ফলাফল শনিবার থেকেই মিলতে শুরু করেছে।

ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে শনিবার প্রায় সারাদেশেই তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। বেশ কিছু জায়গায় তাপমাত্রা ৪ থেকে ৫ ডিগ্রী বেশি ছিল। এমনকি দেশের বিভিন্ন এলাকায় শনিবার তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৩ ডিগ্রি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। শনিবার দিল্লিতে ছিল এই মরশুমের সবথেকে উষ্ণতম দিন। দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। রাজস্থানের চুরুতেও তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল ৪৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। মহারাষ্ট্র, ছত্তীসগড়, মধ্যপ্রদেশ উত্তরপ্রদেশের একাধিক এলাকায় তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রির বেশি।

কিন্তু এই ঘূর্ণিঝড়ের পরবর্তী সময়ে আবহাওয়ার এমন পরিবর্তন কেন?

সুপার সাইক্লোন আমফান পরবর্তী সময়ে আবহাওয়ার এমন ঘোরতর পরিবর্তনের কারণ উত্তর পশ্চিমের শুকনো ও গরম হাওয়া উত্তর-পশ্চিম ও মধ্য ভারতের উপর দিয়ে বয়ে গেছে। পাশাপাশি দক্ষিণ ভারতের বিশাল অংশে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় উত্তাপ এত বৃদ্ধি পেয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে এই তীব্র দাবদাহে ফলে সমতলের গড় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে। আর উপকূল ও পার্বত্য এলাকায় যথাক্রমে গড় তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৭ ও ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

অন্যদিকে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর রবিবার নতুন করে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায়। পাশাপাশি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩১° কাছাকাছি বা তার সামান্য বেশি। ধীরে ধীরে এই তাপমাত্রা আগামী কয়েক দিনে ৩৬ ডিগ্রিতে পৌঁছে যাবে। আর দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ঝাড়গ্রাম এই সকল জেলায় আগামী কয়েক দিনে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে ৩৮ ডিগ্রিতে।