নিজস্ব প্রতিবেদন : দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হলেও গত দিন চারেক ধরে কমেছে বৃষ্টির পরিমাণ। বৃষ্টির পরিমাণ কমার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আদ্রতাজনিত অস্বস্তি। মেঘলা আকাশের কারণে এই অস্বস্তি বজায় রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আংশিক মেঘলা আকাশে ঢাকা পড়েছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা। তবে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়।
উত্তর পশ্চিম রাজস্থান থেকে দক্ষিণ বিহার পর্যন্ত বিরাজ রয়েছে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা। আর এই নিম্নচাপ অক্ষরেখা উত্তরে সরতেই ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে উত্তরবঙ্গের জন্য। এছাড়াও মধ্যপ্রদেশের উপর রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। আর নিম্নচাপ অক্ষরেখার টানে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয়বাষ্প পূর্ণ বাতাস ঢুকছে রাজ্যে। আর এর ফলে আগামী চার-পাঁচ দিন উত্তরপূর্ব এবং পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে।
উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা দেওয়া হয়েছে। আগামী শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায়। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে মালদা এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। তবে বৃষ্টি হলেও আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তিকর আবহাওয়া রাজ্যজুড়ে বজায় থাকবে বলে জানানো হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে।
আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হওয়ায় স্থানীয়ভাবে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি দেখা যাবে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে। তবে সপ্তাহের শেষের দিকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলির পাশাপাশি বীরভূম, মুর্শিদাবাদে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।