নিজস্ব প্রতিবেদন : এপ্রিল মাসে যেভাবে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে তা গত ৫০ বছরেও দেখা যায়নি। দিন দিন তাপমাত্রার পারদ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) এখন বইছে কোথাও তাপপ্রবাহ, তো কোথাও আবার তীব্র তাপপ্রবাহ (Heatwave South Bengal)। এই তীব্র তাপপ্রবাহে এখন মানুষ থেকে শুরু করে পশু পাখি সবাই নাজেহাল। স্বাভাবিকভাবেই এমন পরিস্থিতি থেকে কবে মুক্তি পাওয়া যাবে সেই উত্তর খুঁজতেই মরিয়া প্রত্যেকে।
রবিবার দক্ষিণবঙ্গে কেমন ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সেই দিকে যদি নজর রাখা যায়, তাহলে দেখা যাবে, আসানসোলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বাঁকুড়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল ৪৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বীরভূমের শ্রীনিকেতনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪১° তে। কলকাতার আলিপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। একই রকম পরিস্থিতি ছিল দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত এলাকাতে।
এমন পরিস্থিতি থেকে দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা মুক্তি চাইলেও হাওয়া অফিস চেয়ে পূর্বাভাস দিচ্ছে তাতে আপাতত কোনরকম আশার আলো দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। কেননা সোমবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায় তাপপ্রবাহ নিয়ে কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতেও স্বস্তি থাকবে না। তবে তুলনামূলক কিছুটা হলেও কম অস্বস্তি বজায় থাকবে।
আরও পড়ুন ? Electricity Bill of AC: প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা চললে দেড় টন এসিতে কত আসবে বিল! রইল সহজ হিসেব-নিকেশ
আবার হাওয়া অফিসের তরফ থেকে আগামী ২৫ তারিখ পর্যন্ত যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে সেই পূর্বাভাসে কোথাও কোনো রকম স্বস্তি ফেরার উল্লেখ নেই। শুধুমাত্র সাময়িকভাবে সোমবার এবং মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ছিঁটেফোঁটা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই ছিঁটেফোঁটা বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের বুকে স্বস্তি ফেরাতে পারবে না বলেও হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার এবং মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের ওই তিন জেলায় যে ছিঁটেফোঁটা বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তা মূলত উত্তর-পূর্ব অসমের উপর একটি ঘূর্ণাবর্তের অবস্থান এবং সেই ঘূর্ণাবর্তে একটি অক্ষরেখা মিশে যাওয়ার কারণে। যে অক্ষরেখাটি পূর্ব বিহার থেকে বিস্তৃত। সোমবার ওই তিন জেলায় ছিঁটেফোঁটা বৃষ্টির পর মঙ্গলবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বারবার হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি সপ্তাহেও দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা এই তীব্র দহন থেকে রক্ষা পাবেন না।