IMF predicts that structure of China economy may collapse: লোকসভা ভোটের মাঝখানেই প্রকাশ্যে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট। যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার অর্থাৎ IFM। যে রিপোর্ট দ্বারা চীনের আর্থিক পরিকাঠামো ভেঙে যাওয়ার পূর্বাভাস (China Economy) দিয়েছে সংস্থা। চীন যেভাবে ঋণের বোঝায় নিমজ্জিত হচ্ছে তাতে করে আগামী দিনে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে বেজিং। রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল সারা দুনিয়া জুড়ে।
আইএফএম-এর রিপোর্টে উঠে এসেছে চীনের যে ডেট টু জিডিপির অনুপাত। সেখান থেকেই আগামী দিনে চীনের মহাসংকটের পূর্বাভাস (China Economy) জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার। বিশেষজ্ঞদের একাংশের অনুমান, চীনা রাজধানী বেইজিংয়ের জিডিপি বৃদ্ধির হার যে হারে নামছে তাতে করে পরবর্তী দিনে চীনের আর্থিক পরিস্থিতি জাপানের মতোই মহাসংকটের সম্মুখীন হবে। এই পরিস্থিতিতে অপরদিকে ফায়দা লুটবে ভারত।
কারণ অনুসারে পূর্বের বেশ কিছু বছর ধরেই বিশেষ করে করোনাকালীন সময় থেকে চীনের রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় চলছে লোকসান। আমেরিকা, ইউরোপীয় কোম্পানিগুলি চীন দেশ থেকে তাদের ব্যবসা পত্তর গোটাতে শুরু করেছে। চীনের প্রতি তাদের নির্ভরশীলতা কমেছে। যার ফলে বেইজিংয়ের অর্থনৈতিক পরিকাটামোতে বিরাট প্রভাব ফেলেছে। দুরন্ত গতিতে নামছে চীনা স্টক মার্কেট গ্রাফ। যার ফলে বেইজিংয়ে বাড়ছে বেকারত্বের হার।
আরও পড়ুন ? BRI Plan Of China: পুরো জলে চীনের ৭ বছরের প্ল্যান! ভারতের সতর্কতায় নেপালে বারবার ব্যর্থ বেজিং
চীন থেকে কোম্পানিগুলি তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিয়ে বিনিয়োগ করছেন ভারত এবং ভিয়েতনামে। যার ফলে আগামী দিনে ভারতের আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এদিকে অত্যন্ত খারাপ দশা চীনের। আইএফএম-এর দাবি ২০১০ সালে ১০.৬ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল বেইজিংয়ের। কিন্তু ২০২৩-এ সেই জিডিপি নেমে এসেছে ৫০.২ শতাংশে। যার ফলে সংস্থার অনুমান আগামী ২০ বছরে অর্থাৎ ২০৪৪ সালের মধ্যে ডেট টু জিডিপির অনুপাত হবে ২০০ শতাংশ। ২০২৪ সালে নন ফিনান্সিয়াল সেক্টরের ক্ষেত্রে এর অনুপাত দাঁড়াবে ৩১০ শতাংশে। যার প্রভাবে অর্থ বৃদ্ধির দ্বিগুণ ঋণগ্রস্থ হবে বেইজিং।
প্রসঙ্গত, পরিসংখ্যান অনুযায়ী ডেট টু জিডিপির অনুপাত ১৩০ শতাংশের বেশি রয়েছে ৫২টি দেশে। যার মধ্যে ৫১টি দেশ রয়েছে ঋণ খেলাপির তালিকায়। সেই নিরিখে চীন যেভাবে ঋণের বোঝায় নিমজ্জিত হচ্ছে তাতে করে আগামী দিনে সেই তালিকায় নাম উঠতে পারে চীনা রাজধানী বেইজিংয়ের (China Economy)। যা অনুমান করছে IFM।