নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১৯ সাল, যে বছরই একের পর এক ভারতীয় শীর্ষ নেতাদের হারিয়েছে দেশ। যাঁদের চলে যাওয়ায় ভারতীয় রাজনীতি অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন। দেশের রাজনীতিতে তাঁদের অবদান অনস্বীকার্য।
অরুণ জেটলি : ভারতীয় জনতা পার্টির পূর্বতন দলীয় সাংসদ ও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ভারতীয় জনগণের মধ্যে একটি অতি পরিচিত রাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলেন। ২০১৯ সালের ২৪ শে আগস্ট দীর্ঘদিনের অসুস্থতার পর ৬৬ বছর বয়সে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউশন অফ মেডিক্যাল সাইন্সে মৃত্যু বরণ করেন।
জগন্নাথ মিশ্রা : বিহারের পূর্বতন মুখ্যমন্ত্রী ও সংসদের ইউনিয়ন ক্যাবিনেটের সদস্য জগন্নাথ মিশ্রা ছিলেন কংগ্রেসের একজন নেতা। ১৯ শে আগস্ট ২০১৯ এ ৮৪ বছর বয়সে দীর্ঘদিনের বয়স জনিত অসুস্থতার জন্য তিনি দিল্লি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
সুষমা স্বরাজ : সুষমা স্বরাজের মৃত্যু ভারতের জনগণের কাছে একটি দুঃখজনক ঘটনা।পূর্বতন পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এই বছর গত ৬ ই আগস্ট কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ফলে দিল্লি AIIMS এ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যু ভারতের রাজনীতির একটি বড় ক্ষতি।
মনোহর পারিককার : গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পারিককার দীর্ঘদিন ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করার পর অবশেষে ১৭ ই মার্চ ২০১৯ এ ৬৩ বছর বয়সে মারা যান। তিনি পূর্বতন BJP সরকারের সমকালীন সময় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছিলেন।
মাঙে রাম গর্গ : প্রাক্তন BJP সরকারের দিল্লি প্রেসিডেন্ট ও সাংসদ সদস্য মাঙে রাম গর্গ ২০১৯ সালের ২১ এ জুলাই বয়স জনিত কারণে মারা যান।
শিলা দিক্ষীত : তিনবার নির্বাচিত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শিলা দিক্ষীত ছিলেন ভারতের সব থেকে দীর্ঘ সময় ব্যাপী নিজ পদে থাকা মুখ্যমন্ত্রী। গত ২০ শে জুলাই ৮১ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়।
বাবুলাল গৌড় : মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী BJP নেতা বাবুলাল গৌড় ২০১৯ সালের ২১ শে আগস্ট ভোপালের একটি হাসপাতালে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ফলে মৃত্যু বরণ করেন।
জয়পাল রেড্ডি : INC নেতা ও লোকসভার সদস্য জয়পাল রেড্ডি ছিলেন প্রাক্তন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী। ২০১৯ সালের ২৮ শে জুলাই তাঁর মৃত্যু হয়।
জর্জ ফার্নান্ডেজ : দেশের পূর্বতন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জর্জ ফার্নান্ডেজ ২০১৯ সালের ২৯ শে জানুয়ারি ৮৮ বছর বয়সে মারা যান। তিনি ভারতের পূর্বতন শ্রমিক সংগঠনের নেতা, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, কৃষিবিদ ও বিহারের রাজ্যসভার সদস্য। ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত কারগিল যুদ্ধ যখন জেতে তখন তিনি ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। তিনি দীর্ঘদিন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। দিল্লির ম্যাক্স হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল।