এপ্রিলেই ভারতে দৈনিক ৫ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন করোনায়, বাড়ছে আশঙ্কা

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি মাস অর্থাৎ এপ্রিল মাসেই ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে যেতে পারে। আশঙ্কা এমনটাই। এমনিতেই গত দু’দিন ধরে দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন দু’লক্ষের বেশি মানুষ। এই আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে গুণিতক আকারে বেড়েছে তাতে এপ্রিল মাসে দৈনিক ৫ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হতে পারেন এমনটাই আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি মৃতের সংখ্যাও দৈনিক কয়েক হাজারে পৌঁছে যেতে পারে এমনটাও একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গবেষকরা।

Advertisements

Advertisements

ইউনিভার্সিটি অফ মিচিগানের এপিডেমলজির অধ্যাপক ভ্রমর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “এখনো আমাদের দেশে এত বেশি আক্রান্তের সংখ্যা রিপোর্ট দেখলে দুঃখ হয়। মাঝে মাঝে মনে হয় গত একবছরের আমাদের প্রচেষ্টা বিফলে গেছে।” তিনি দাবি করেছেন আগামী চার সপ্তাহ ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি তিনি মনে করছেন, এই এপ্রিল মাসই ভারতীয়দের কাছে সবথেকে নিষ্ঠুর হতে চলেছে।

Advertisements

অধ্যাপক ভ্রমর মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “করোনা সংক্রমণ নির্ধারক মডেলগুলি দিয়ে হিসাব কষে দেখা গিয়েছে বেশিরভাগ গণনা বলছে এপ্রিল মাসে ভারতে দৈনিক করোনা সংক্রমণ পৌঁছে যেতে পারে পাঁচ লাখে। পাশাপাশি দিনে ২৫ হাজার করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি হবেন হাসপাতালে। সেই সঙ্গে বাড়বে মৃত্যু। প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার মানুষ প্রাণ হারাবে করোনা আক্রান্ত হয়ে।”

অধ্যাপক ভ্রমর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “এই সংখ্যাগুলি খুবই উদ্বেগের। তাই কামনা করি যেন সঠিক সিদ্ধান্ত, সঠিক পরিকল্পনা এবং জনসাধারণের সহযোগিতায় যেন এই সকল সমস্ত হিসেব মিথ্যে হয়ে যায়।”

তবে এর পাশাপাশি তিনি আশার আলো দেখিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, “আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত হারে শীর্ষে পৌঁছানোর পাশাপাশি তা দ্রুত হারে হ্রাসও পেতে পারে। যেমনটা লক্ষ্য করা গিয়েছিল আফ্রিকা, ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এই সকল দেশগুলিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তের সংখ্যা যেমন দ্রুত হারে বেড়ে ছিল, ঠিক তেমনি তা কমেছে দ্রুত হারে।”

[aaroporuntag]
প্রসঙ্গত, শুক্রবার কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে করোনা সংক্রান্ত যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ১৭ হাজার ৩৫৩ জন। পাশাপাশি প্রাণ হারিয়েছেন ১১৮৫ জন।

Advertisements