নিজস্ব প্রতিবেদন : একদিনে বীরভূমে করোনা পজেটিভের সংখ্যা বাড়ল ১০। মঙ্গলবার রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে এদিন বীরভূমে মোট ১০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। জেলায় একের পর এক সংক্রমণ বাড়ায় রীতিমতো চিন্তায় জেলা প্রশাসন। একদিনে এত সংখ্যক করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ায় বীরভূমের মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩২।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দীর্ঘদিন ধরে দেশে চলছে লকডাউন। আর এই লকডাউন চলাকালীন বীরভূম দীর্ঘদিন ধরে গ্রীন জোন অন্তর্ভুক্ত ছিল। এরপর হঠাৎ করে প্রথম মুম্বাই ফেরত তিন জনের শরীরে ধরা পড়ে সংক্রমণ। তারপরেই জেলা গ্রীন জোন থেকে অরেঞ্জ জোনে পা রাখে। যদিও বর্তমানে বীরভূম কোন জোনের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তা সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়নি। তবে জেলার ক্ষেত্রে স্বস্তির খবর এটাই যে যাদের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে তারা প্রত্যেকেই পরিযায়ী শ্রমিক। লকডাউন চলাকালীন তারা অন্যান্য রাজ্য থেকে জেলায় আসেন। এরপর তাদের রাখা হয়েছিল কোয়ারেন্টাইনে অথবা হোম কোয়ারেন্টাইনে। জেলায় একদিনে ১০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পাশাপাশি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আরও ১ জন রোগী। অর্থাৎ বর্তমানে জেলায় মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৭, অ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্ত ২৫। এখনো পর্যন্ত জেলায় কারোর মৃত্যু হয়নি।
জানা গিয়েছে এদিন যে সকল ব্যক্তির শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগ জনই চেন্নাই, মুম্বাই ও অন্যান্য জায়গা থেকে বীরভূম এসেছিলেন। এই সমস্ত রোগীরা মুরারই, মল্লারপুর, রামপুরহাট, ময়ূরেশ্বর, সাঁইথিয়া এলাকার বাসিন্দা।
অন্যদিকে রাজ্যে এদিন আরও ১৯৩ জনের শরীরে নতুন করে ধরা পড়েছে করোনা সংক্রমণ। আর এর পরেই রাজ্যের মোট সংক্রমণ ৪০০০ পেরিয়ে গেল। রাজ্যে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৪০০৯ জন। এদিন নতুন করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭২ জন। মোট সুস্থ ১৪৮৬ জন। মারা গিয়েছেন আরও পাঁচজন। রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২১১+৭২ জন। রাজ্যে বর্তমানে মোট অ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্ত রোগী ২২৪০ জন।