In East-West line of Kolkata Metro will see the new ticket: তিলোত্তমানগরী কলকাতা নতুনভাবে সেজে উঠেছে, বর্তমানে যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত থেকে উন্নততর হয়েছে। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় মেট্রো (Kolkata Metro) চালু হওয়াতে কলকাতাবাসীর যাতায়াতের সুবিধা আরও দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি কলকাতা মেট্রোকেও আরো নতুনভাবে সাজানো হয়েছে যাত্রী সুবিধার্থে। কলকাতার বিভিন্ন স্টেশনে ইতিমধ্যে চালু হয়ে গেছে কিউআর কোড যুক্ত কাগজে এর টিকিট। কলকাতা মেট্রোর কোন কোন স্টেশনে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে আসুন জেনে নিই বিস্তারিতভাবে।
মেট্রোর বিভিন্ন স্টেশনে আগে থেকে চালু ছিল কাগজের কিউআর কোড যুক্ত টিকিট, স্টেশনগুলি হল – শিয়ালদা, সেন্ট্রাল পার্ক, করুণাময়ী ও সল্টলেক সেক্টর ফাইভ ইত্যাদি। সম্প্রতি আরো কিছু স্টেশনে এই একই ব্যবস্থা চালু করল কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro)। পরবর্তীকালে কাগজের টিকিট চালু হল ফুলবাগান, বেঙ্গল কেমিক্যাল, সল্টলেক স্টেডিয়াম ও সিটি সেন্টার স্টেশনে।
মেট্রোর (Kolkata Metro) সবুজ লাইনের সমস্ত স্টেশনগুলিতে এখন থেকে যাত্রীরা পাবে কাগজের কিউআর কোড যুক্তি টিকিট। একদম শেষে এই চারটি স্টেশন যুক্ত হয়েছে অর্থাৎ এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে। আবার যেসব যাত্রীরা টোকেন কিংবা স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে তাদের জন্য সেই পুরনো ব্যবস্থাও চালু থাকবে। এছাড়াও যাত্রীরা অনলাইনের মাধ্যমে কিছু ক্রয় করতে পারবে খুব সহজেই। তার জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাপটি হল কলকাতা মেট্রো রাইড অ্যাপ। এখানেও যাত্রীরা টিকিট কিনতে পারবে অনলাইনের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন ? Majerhat Metro Trial: হয়ে গেল মাঝেরহাট মেট্রোর ট্রায়াল, সামনে এলো ভিডিও, জানুন কবে হচ্ছে উদ্বোধন
নয়া কাগজের কিউআর কোড যুক্ত এই টিকিট ব্যবস্থা ইতিমধ্যে সফলতা পেয়েছে গোটা কলকাতার শহরে। পাশাপাশি গ্রিন লাইনের একাধিক স্টেশনের সমস্ত AFC-PC গেটগুলি আপগ্রেড করা হয়েছে। কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) তরফ থেকে এই পদক্ষেপ সত্যি প্রশংসনীয়। একবার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতে নতুন ধরনের এই টিকিট ব্যবস্থা সফল হলে, এটি কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর এবং জোকা থেকে তারাতলা লাইনেও চালু করা হবে এমনটাই জানাচ্ছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, শিয়ালদা মেট্রো স্টেশনে প্রথমবার চালু হয়েছে এই বিকল্প কাগজের QR কোডযুক্ত টিকিটিং সিস্টেমটি। গত ১১ই অক্টোবর এটি চালু হয় শিয়ালদা মেট্রো স্টেশনে। এটির তৈরি করতে সাহায্য করেছে সেন্টার ফর রেলওয়ে ইনফরমেশন সিস্টেমস অথবা CRIS। সব থেকে খুশির খবর হল ইতিমধ্যেই যাত্রীদের মধ্যে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এই নতুন টিকিটের ব্যবস্থা।