পাহাড়ের থেকে আছড়ে পড়ছে বড় বড় পাথর, এই ভিডিও দেখলে গায়ে কাঁটা দেবে

পাহাড়ী রাস্তায় মাঝে মাঝেই নানা কারণে নামে ধস (Landslide)। যার জন্য বিপর্যয় নামে পাহাড়বাসী থেকে সাধারণ মানুষের জীবনে। সম্প্রীতি এমনি এক কাণ্ড ঘটল কাশ্মীরে। যার কারণে সম্পূর্ণভাবে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে শ্রীনগর-সোনমার্গ সড়ক।

দেশের অন্যতম বড় সুড়ঙ্গ। ঠিক তার উপরের পাহাড়েই হঠাৎ নামল ধস (Landslide)। পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়তে থাকে বড় বড় পাথর। অল্পের জন্য রক্ষা পেল সেনা বোঝাই একটি ট্রাক। পাহাড় থেকে ধস নামতে দেখেই সঙ্গে সঙ্গে সুড়ঙ্গের সামনে থাকা সমস্ত গাড়ি পিছোতে শুরু করে। প্রাণভয়ে পড়িমড়ি করে ছুট লাগান সুড়ঙ্গের সামনেই কাজে ব্যস্ত থাকা কর্মীরাও। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir)। রামবান (Ramban) জেলায় জাতীয় সড়কের উপরে আচমকাই ভূমিধস (Landslide) নামে। পাহাড় থেকে লাগাতার পাথর বর্ষণের কারণে বন্ধ হয়ে যায় ওই রাস্তার ট্রাফিক চলাচলও।

জানা গেছে যে, সম্প্রতি কাশ্মীরি উপত্যকায় ওই ভয়াবহ (Landslide) ধসের জেরে ভেঙে পড়ে একাধিক ঘরবাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১৩ টি বাড়ি। এছাড়াও বেশকিছু গবাদি পশু মারা গিয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) রামবান (Ramban) জেলা সদর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে গুল মহকুমার ডাকসার ডাল গ্রামে ভূমিধসের (Landslide) ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয় প্রশাসনের তরফে।

গুলের মহকুমা শাসক তানভীর-উল-মজিদ ওয়ানি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকেই ভূমিধস শুরু হয়েছিল। রবিবার সেই ধস বড় আকার ধারণ করে। গত তিন দিনে ডাকসার ডাল গ্রামে ভূমিধসের কারণে মোট ১৩ টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আপাতত নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ত্রাণ হিসাবে তাদের তাঁবু, রেশন, বাসনপত্র ও কম্বল দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই তাদের প্রশাসনের তরফে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ধসের জেরে গ্রামের সঙ্গে সংযোগকারী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গুল ও সঙ্গলদানের মধ্যে সংযোগকারী রাস্তায় বড় বড় ফাটল দেখা যায়। আপাতত ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনকে বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তবে কী কারণে হঠাৎ পাহাড়ে ধস নামল, তা এখনও জানা যায়নি। তবে সুড়ঙ্গ তৈরির জন্য পাহাড়ে যে খনন করা হয়েছে, তার জেরেই মাটি আলগা হয়ে গিয়ে ধস নেমেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।