Strange place in Bengal: সাধারণত মানুষ যেখানে বসবাস করে সেখানকার বিদ্যুৎ এবং জল ভোগ করে। তাই বিলও দিতে হবে সেই দেশেরই হয়ে। তবে আমাদের দেশে এমন জায়গা রয়েছে যেখানে আপনার বাসভূমি ভারত হলেও বিদ্যুতের বিল গুনতে হয় বিদেশের। শুনতে অবাক লাগলেও এমন জায়গা সত্যিই উপস্থিত রয়েছে ভারতে। ভারতের এই এলাকার মানুষ পড়শি দেশ ভুটানের বিদ্যুত এবং পানীয় জলের উপর নির্ভরশীল। অবাক করা কাণ্ড হলো ভুটান সরকারকে বিদ্যুৎ এবং পানীয়র জন্য তাদের বিল দিতে হয়।
ইতিহাসের পাতা উল্টালে আমরা দেখতে পাবো যে, ১৯৫২ সাল থেকে জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা থানার অধীন ভুটানের সীমান্তবর্তী গ্রাম জিটি (Strange place in Bengal) ভুটানের গোপাল লাইন, এই স্থান দিয়েই চলছিল দু-দেশের জনসাধারণের মেলামেশা এবং জিনিসপত্রের কেনাবেচা। দু’দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক ছিল কোভিদ সৌহার্দ্যপূর্ণ। তবে হঠাৎ করেই ছন্দপতন ঘটে এই ব্যবস্থার মধ্যে।
২০২০ সালে যখন মহামারী দেখা দেয় তখন এই দুই দেশের ব্যবসা এবং মেলামেশা সব ক্ষেত্রেই ছন্দপতন ঘটে। করোনা পরিস্থিতি সামলে ওঠার পর ২০২২ সালে ভুটান সরকার প্রথমে তাদের জমিতে থাকা ভুটানের নাগরিকদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায়। পাশাপাশি তারা দুই দেশের সীমান্তে দীর্ঘ বছর ধরে উপস্থিত থাকা বাঁশের ফটকটি তুলে দিয়ে ধীরে ধীরে ১০ ফুট উচ্চতার তারের বেড়া এবং প্রাচীর তুলে দেয়। সেই সময় থেকে ভুটান এবং ভারতের নাগরিকদের মেলামেশা এবং ব্যবসা সবই বন্ধ।
আরো পড়ুন: হাতে সময় কম, বর্ষায় টুক করে ২ দিনের ছুটিতে ঘুরে আসা যায় সুন্দর এইসব স্পট
আসলে এই জিটি (Strange place in Bengal) ভুটান সীমান্ত গ্রামের কুড়িটি পরিবারের পাশাপাশি, নাগরাকাটা ব্লকের জিটি এবং হোপ চা বাগান-সহ প্রায় সাত হাজার মানুষের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক জীবন ক্রমশই দুর্বল হয়ে পড়ছে দিনকে দিন। স্থানীয় এক বাসিন্দা এই বিষয়ে বলেছেন যে, সকলেরই আশা ছিল পরবর্তী সময় অবস্থা আবার আগের মত হয়ে যাবে কিন্তু ভুটানের সঙ্গে সম্পর্ক আর কখনোই সুমধুর হয়নি তাদের। উঁচু তারের বেড়ায় বাধা পেয়ে ভেঙে পড়ছে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার আর্থ সামাজিক স্বাস্থ্য।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দুই দেশের সরকারের কাছে এখন একটাই আবেদন যে, দ্রুত দুই দেশের মধ্যবর্তী গেট যেন আবার আগের মত খুলে দেওয়া হয় তাহলেই সেখানকার মানুষের আর্থ এবং সামাজিক জীবন সচ্ছল হবে। তবে সীমান্তবর্তী এই এলাকা (Strange place in Bengal) আবার আগের মত হবে কিনা এই নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে সকলের।