Income Tax Notice: ব্যাংকে টাকা রাখার ক্ষেত্রে রয়েছে নির্দিষ্ট সিমা, অতিরিক্ত সঞ্চয়ে নোটিশ পাঠাতে পারে আয়কর বিভাগ। প্রতিটি ভারতীয়কে তাদের কাছে থেকে অর্থের পরিমাণে উপর ভিত্তি করে ট্যাক্স দিতে হয় সরকারকে। সরকার দ্বারা নির্দিষ্ট সীমার ঊর্ধে যারা আয় করেন তাদেরকে এই ট্যাক্স দিতে হয়। এখন থেকে লেনদেনের ক্ষেত্রেও একটি নির্দিষ্ট সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে অনেকে মনে করে বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করলে হয়তো আর ট্যাক্স দিতে হবে না। বা আয়কর দপ্তরকে এই সমস্ত বিনিয়োগের খবর না জানালেও চলে। কিন্তু এখন থেকে আর তা চলবেনা। মিউচুয়াল ফান্ড হোক, শেয়ার কেনা বেচা হোক অথবা জমি ক্রয়ের বিষয় হোক সবকিছু জানাতে হবে আয়কর দপ্তরকে। অন্যথায় নোটিশ পাঠাতে পারে আয়কর বিভাগ (Income Tax Notice)।
প্রতিবছর আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় এই সমস্ত তথ্য জানাতে হয় আয়কর বিভাগকে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই এই ভুলটা করে থাকেন। তারা অনেক তথ্যই সঠিকভাবে জানান না। যার ফলে বারবার বাতিল হয় আইটিআর। ট্যাক্স না দেবার জন্য অনেক আর্থিক লেনদেন আমরা গোপন করে যাই। কিন্তু আয়কর দপ্তরের সাথে যুক্ত রয়েছে প্রত্যেকটি সংস্থা এবং আর্থিক লেনদেনের বিভাগগুলি। আপনি যেখানেই বিনিয়োগ করুন না কেন আয়কর দপ্তরের কাছে রেকর্ড জমা হতে থাকবে। আপনি চাইলেই তা গোপন করতে পারবেন না। বরঞ্চ যদি গোপন করার চেষ্টা করেন তবে আয়কর দপ্তর থেকে আপনাকে নোটিশ পাঠানো হবে (Income Tax Notice)।
প্রতিটি ক্ষেত্রে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোথায় কতটুকু পর্যন্ত বিনিয়োগ করার অনুমতি রয়েছে। ব্যাংকের সেভিংস অ্যাকাউন্টে টাকা জমান অনেকেই। কিন্তু জানেন কি টাকা রাখার ক্ষেত্রে রয়েছে নির্দিষ্ট সীমা? সেভিংস অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ১০ লক্ষ টাকা এবং কারেন্ট অ্যকাউন্টের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয় করার অনুমতি দেয় অর্থ দপ্তর। অর্থ দপ্তরের অনুমতি ছাড়া এর থেকে বেশি টাকা অ্যাকাউন্টে রাখা হলে আপনার কাছে আসতে পারে অর্থ দপ্তরের নোটিশ (Income Tax Notice)। একক লেনদেনের ক্ষেত্রে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লেনদেনের অনুমতি দেয় অর্থ দপ্তর।
আরো পড়ুন: ছোটদের ভবিষ্যৎ নিয়ে টেনশন দূর, কেন্দ্র আনল নতুন পেনশন অ্যাকাউন্ট প্রকল্প
বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ফিক্স ডিপোজিট সব থেকে সুরক্ষিত। আর তাই বেশিরভাগ মানুষই বিনিয়োগের জন্য বেছে নেন ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্টগুলিকে। বর্তমানে প্রায় প্রত্যেকটি ব্যাংকই তাদের এফডি অ্যাকাউন্টের সুদের হার অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই বিনিয়োগ করার পরিমাণও বেশ কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু এফডির ক্ষেত্রেও সর্বাধিক ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়ের অনুমতি দিচ্ছে অর্থ দপ্তর। তার চেয়ে বেশি টাকা রাখতে হলে অবশ্যই অর্থ দপ্তরকে জানাতে হবে। অন্যথায় আপনার কাছে আসবে অর্থ দপ্তরের নোটিশ (Income Tax Notice)।
অনেকেই মনে করেন সম্পত্তি কেনাবেচা করলে, বিনিয়োগ দেখিয়ে দিলেঈ আর ট্যাক্স দিতে হবে না। কিন্তু বিষয়টা একেবারেই তেমন নয়। নির্দিষ্ট সীমার থেকেও দামি কোন সম্পত্তি কিনতে হলে আয়কর দপ্তরকে অবশ্যই আয়ের উৎস দেখাতে হবে। অন্যথায় নোটিশ (Income Tax Notice) আসতে পারে আপনার বিরুদ্ধে। শহুরে এলাকায় সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা এবং গ্রামীণ এলাকায় সর্বাধিক ২০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি কেনা যায় আয়কর দপ্তরের হস্তক্ষেপ ছাড়াই।