লকডাউনে করদাতাদের সুবিধার্থে নতুন ফর্ম আনছে আয়কর দপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদন : গতকাল কলকাতার একাধিক জায়গা সিল করে দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, মধ্য কলকাতার নানা জায়গাকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই সকল জায়গাতে পুলিশ কড়া টহলদারির ব্যবস্থা করেছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বে করোনা ভাইরাসের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়িয়ে গেছে।ভারতেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬,১১৬। ভারতে করোনাতে মৃত্যুর সংখ্যা ৫১৯। ঘরে থাকাটাই এই মুহুর্তে নিরাপদ। এই কারণে লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৩ রা মে অবধি।

এই বছরে তাই করদাতাদের জন্য কিছু সুবিধা ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এই সকল সুযোগ সুবিধা করদাতারা যাতে নিতে পারেন তার জন্য খুব শীঘ্রই আয়কর দফতর নতুন ফর্ম আনবে। আর্থিক বছরের যাবতীয় হিসেব করা হয় ৩১ মার্চ অবধি। কিন্তু এবার দেশে লকডাউন চালু হয় ২৫ মার্চ। অর্থাৎ অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার আগেই লকডাউন চালু হয়ে যায়। তাই এবার হিসেব কীভাবে করা হবে এই নিয়ে অর্থমন্ত্রক স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দেয় ১লা এপ্রিল থেকে ৩০শে জুনের মধ্যে হওয়া আর্থিক লেনদেনও ২০১৯-২০ আর্থিক বছরের আয়কর রিটার্নেই দেখাতে হবে আর এই রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ নির্ধারিত হয় ৩১শে জুলাই।

এর ফলে কী সুবিধা হবে?

খুব সোজা হিসেব ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার আগে অবধি (জুনের শেষ অবধি) করদাতারা যদি মনে করেন তবে তারা চাইলেই নতুন করে বিনিয়োগ করতে পারবেন এবং এই সকল ক্ষেত্রেই তারা কর ও ছাড় পাবেন। বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী যদিও এখনও অবধি শেষ তারিখ ৩১ জুলাই বলা হচ্ছে তবুও আশা করা যায় যে এই সময় পরে হয়তো আরও একটু বাড়াতে পারে।

এখন এই সকল কর ছাড়ের সুবিধাগুলি যাতে করদাতারা পেতে পারেন তার জন্যই আয়কর বিভাগ নতুন রিটার্ন ফর্ম আনতে চলেছেন। আয়কর বিভাগ জানিয়েছে, চলতি মাসের শেষ থেকেই এই নতুন ফর্ম পাওয়া যাবে। করদাতারা যাতে অনলাইনে রিটার্ন ফর্ম জমা দিতে পারেন তার জন্য সফটওয়্যারে প্রয়োজনীয় বদল আনতে হবে আর এই কাজটিও ৩১ শে মের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।