নিজস্ব প্রতিবেদন : গোটা বিশ্ব এখন কার্যত ধুঁকছে কোভিড-১৯ এর মারণ থাবায়। আমাদের দেশও সেই মারণ থাবার শিকার হয়েছে। ভারতে করোনা সংক্রামিতের সংখ্যা ২৮০০০ ছুঁতে চলেছে। এই করোনা সংকট মোকাবিলা করার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। আবার একথাও সত্যিই যে দীর্ঘদিন ব্যাপী চলা লকডাউনের কারনে আমাদের দেশের আর্থিক পরিস্থিতিও খুব একটা ভালো না। রাজস্ব আদায়ের হারও রীতিমতো কমছে এই লকডাউনের ফলে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে অর্থের যোগান হবে? অর্থের যোগান বৃদ্ধি না পেলে স্বাস্থ্যখাতে কি করে বিপুল টাকা ব্যয় করা সম্ভব হবে? এই পরিস্থিতিতে অর্থের সংকুলান করবার জন্য আয়কর অফিসারদের একটি দল এক রকমের প্রস্তাব পেশ করেছেন।
ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে Fiscal Options & Response to COVID-19 Epidemic নামে এক প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডায়রেক্ট ট্যাক্সেসর কাছে। আসলে যারা বেশি আয় করেন তারা বাড়ি থেকেই কাজ করতে পারছেন। তাই এই লকডাউনে তাদের আয় একই থাকবে। দেশের এরকম দুর্দিনে তাদের থেকে বেশি কর নেওয়া যেতেই পারে। ৩ থেকে ৬ মাসের জন্য তাদের উপর বাড়তি কর নিয়ম চালু করা যেতেই পারে। এমনটাই বলা হয়েছে এ প্রস্তাবে।
কী এই প্রস্তাব? এই প্রস্তাবে বলা হচ্ছে যে, আমাদের দেশের খুব ধনী ব্যক্তিদের উপরে বেশি পরিমাণে কর চাপানো হোক। বার্ষিক ১০ লাখ টাকার উপরে যারা আয় করেন তাদের আয়ের উপর বসানো হোক ‘কোভিড রিলিফ সেস’ আর যাদের আয় এক কোটি টাকার বেশি তারা এতদিন ৩০ শতাংশ কর দিতেন এই করের পরিমাণ বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করে দেওয়া হোক। এছাড়া চালু করা হোক সম্পত্তি কর। এর ফলে ৫ কোটি টাকা ও এর চেয়ে বেশি মূল্যের সম্পত্তি যাদের আছে তাদের থেকে সম্পত্তি কর আদায় করা যেতে পারে।
(2/3)No permission was sought by the officers before going public with their personal views & suggestions, which is a violation of extant Conduct Rules. Necessary inquiry is being initiated in this matter.@nsitharamanoffc @Anurag_Office
— Income Tax India (@IncomeTaxIndia) April 26, 2020
যদিও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক এই সুপারিশ কার্যকরী করেন নি। তাদের দাবি এই সুপারিশ কার্যকর হলে সঙ্কট পরবর্তী পর্যায়ে বাড়তি চাপ পড়বে জনগণের উপরে। তাই এই সুপারিশ খারিজ করে দিয়েছে তারা।