Increasing BSNL Customers: রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল এর গ্রাহক সংখ্যা যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এর আগে কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি। এর পেছনের আসল উদ্দেশ্য হল দেশের একাধিক বেসরকারি টেলিকম সংখ্যাগুলো বাড়িয়ে দিয়েছে তাদের রিচার্জ প্ল্যান এর মূল্য। এর ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এই বেসরকারি সংস্থাগুলো। সরকারি এই টেলিকম সংস্থার গ্রাহকের পরিমাণ বেড়েছে কল্পনার বাইরে।
বিএসএনএল উপরন্ত গ্রাহকদের দিচ্ছে একাধিক পরিষেবা। যা সত্যি এই সরকারি টেলিকম সংস্থার কাছ থেকে আশাই করা যায় না। একদিকে যেমন মাসুল স্থির রেখেছে অন্যদিকে তেমনভাবেই আটকাচ্ছে ভুয়ো কল। সবথেকে খুশির খবর হল দ্রুত ৫জি পরিষেবা পাওয়ার মতো নানা সুবিধাও আনছে বিএসএনএল। গ্রাহকদের (Increasing BSNL Customers) জন্য কম পয়সায় নানারকম আকর্ষণীয় পরিষেবা দিচ্ছে এই সংস্থাটি।
বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই বেসরকারি সংস্থাগুলি তাদের মাসুল বাড়িয়ে দিয়েছে। এই ঘটনার পর থেকেই গ্রাহকদের রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলোকে। তবে মঙ্গলবার বিএসএনএলের সিএমডি রবার্ট রবি সংবাদ সংস্থাকে জানান, এই মুহূর্তেই তারা বাড়াচ্ছে না তাদের মাসুল। পাশাপাশি গ্রাহকদের সুবিধার্থে এ দিনই ভুয়ো বা অবাঞ্ছিত কল এবং এসএমএস রুখতে স্প্যাম ব্লকার চালু করছে এই সংস্থাটি। পাশাপাশি সিম কেনার কিয়স্ক, ডিরেক্ট টু ডিভাইস সংযোগ-সহ একগুচ্ছ সুবিধার সূচনা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
গ্রাহকদের আধুনিক পরিষেবা প্রদানের মাধ্যমে বিএসএনএলের হারানো গৌরব ফেরাতে জোর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি জোর দেওয়া হচ্ছে ৪জি ও ৫জি পরিষেবায়। যাতে বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলোকে সহজে টেক্কা দিতে পারে সেই ব্যবস্থাই করছে বিএসএনএল। বিএসএনএল এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, আগামী বছর মে জুন মাসের মধ্যেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় চালু হয়ে যাবে 4G টাওয়ার এমনকি বেশকিছু এলাকাতে থাকবে 5G টাওয়ারও। এখন তাদের ৪জি টাওয়ার প্রায় ৩৮,০০০।
বিএসএনএল যেদিন থেকে তাদের 4G পরিষেবাতে জোর দিয়েছে তারপর থেকেই তাদের গ্রাহক সংখ্যা হয়েছে প্রায় ১.৮ কোটি। বহু নতুন গ্রাহক পেয়েছে সরকারি এই টেলিকম সংস্থাটি। দেশে বিএসএনএল এর গ্রাহক সংখ্যা জুলাই পর্যন্ত প্রায় ৮.৯ কোটি। শুধু জুলাইয়েই বেড়েছে ৩০ লক্ষ, অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলো হারিয়েছে তাদের গ্রাহক।