প্রস্তাবেই খুশির হাওয়া, ভারত-বাংলাদেশ নতুন ট্রেন! সহজ হবে যোগাযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিদিনই ভারত থেকে বাংলাদেশ অথবা বাংলাদেশ (India Bangladesh) থেকে ভারত হাজার হাজার যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন। বাণিজ্যিক প্রয়োজন ছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন কারণ যেমন চিকিৎসা, পড়াশুনা ইত্যাদির জন্য দুই দেশের বহু মানুষকেই যাতায়াত করতে হয়। এক্ষেত্রে দুই দেশের নাগরিকদের যাতায়াত করার জন্য ইতিমধ্যেই তিনটি আন্তর্জাতিক ট্রেন (International Train) যাতায়াত করছে। আর এই ট্রেন তিনটি যাতায়াত করার মধ্যেই চতুর্থ ট্রেন নিয়ে মিলল খুশির খবর।

বর্তমানে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে রেলপথে যাতায়াত করার জন্য রয়েছে বন্ধন, মৈত্রী ও মিতালী এক্সপ্রেস। তবে দিন দিন যাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আরও ট্রেনের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে বাংলাদেশ। এছাড়াও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও নিবিড় করার জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরও উন্নতি আনা প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের তরফ থেকেই ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

ভারত বাংলাদেশের মধ্যে যাতে আরও ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করা যায় তার জন্য বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী চতুর্থ আন্তদেশীয় ট্রেন চালানোর জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন। বাংলাদেশের তরফ থেকে প্রকাশ করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানানো হয়েছে। চতুর্থ যে ট্রেনটি চালানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সেটি যাতে ঢাকা এবং কলকাতার মধ্যে যাতায়াত করে সেই প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। এই নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে বাংলাদেশের রেল মন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রীদের বৈঠকও হয়েছে।

এর পাশাপাশি ভারতের তরফ থেকে বাংলাদেশকে ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত যাতায়াতের জন্য উন্নতমানের টুরিস্ট কোচ বাংলাদেশকে রপ্তানি করতে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও এই সকল প্রস্তাব এবং আলাপ আলোচনা হলেও চতুর্থ ট্রেনটি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। তবে যেভাবে আগ্রহ দেখানো হচ্ছে দুই দেশের তরফ থেকে তাতে খুব তাড়াতাড়ি দুই দেশের নাগরিকরা চতুর্থ একটি ট্রেন পেতে চলেছেন যাতায়াতের জন্য বলে মনে করা হচ্ছে।

বাংলাদেশে এই মুহূর্তে সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া পর্যন্ত যে নতুন রেললাইন পাতার কাজ চলছে সেই কাজের জন্য ভারত সরকারের তরফ থেকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশকে। যদিও বাংলাদেশের তরফ থেকে এই রেলপথ সান্তাহার পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে এমন বিভিন্ন দিক দিয়ে সম্পর্ক অবির্ভাব ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও নিবিড় করবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।