India-Bangladesh Agreement: চলবে নতুন ট্রেন, চলবে নতুন বাস! ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াত নিয়ে এবার নো চিন্তা

Antara Nag

Published on:

Advertisements

India-Bangladesh agreement between the two countries: ভারত-বাংলাদেশে সংযোগ স্থাপনে বরাবরই নানান জটিলতা তৈরি হয়েছে। যাতায়াতে রয়েছে নানান সমস্যা। তবে এবার সেই সমস্যার সমাধানে যৌথ উদ্যোগ ভারত-বাংলাদেশের। যাতায়াত উন্নতিতে চালু হতে চলেছে ভারত-বাংলাদেশ (India-Bangladesh Agreement) নয়া পরিষেবা। যে পরিষেবার মাধ্যমে ভারত তরফে একাধিক সুবিধা পেতে চলেছে বাংলাদেশ। যাতায়াত উন্নতি ছাড়া আর কি কি সুবিধায় লাভবান হতে চলেছে বাংলাদেশ?

Advertisements

প্রসঙ্গত, গত শনিবার ভারত সফরে আসেন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এই সফরে এসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠকে একাধিক সুবিধা পান বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী। বলা যায় ভারত-বাংলাদেশ বৈঠকে (India-Bangladesh Agreement) ভারত তরফে একগুচ্ছ সুবিধা পেল বাংলাদেশ। যাতে ভারতে লাভ হওয়ার পাশাপাশি অধিক লাভবান হবে বাংলাদেশ। কি কি সুবিধা ঘোষণা করল জেনে নেওয়া যাক।

Advertisements

প্রথমত, ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াত সমস্যা দূর করতে ঘোষণা করা হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ একাধিক পরিবহন চালু করার। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা থেকে রাজশাহী পর্যন্ত চালু হবে নয়া রেল পরিষেবা। নয়া বাস পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত কলকাতা থেকে চট্টগ্রামের মধ্যে। চালু করা হবে মালগাড়ি পরিষেবা, যার রুট গেদে দর্শনা এবং হলদিবাড়ি চিলাহাটি হয়ে অসমের দলগাঁও পর্যন্ত।

Advertisements

বাংলাদেশের বহু মানুষ চিকিৎসার জন্য কলকাতা সহ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় আসেন। তাই সেই চিকিৎসা ক্ষেত্রে সুবিধা দিতে বাংলাদেশ থেকে আগত রোগীদের জন্য ই-ভিসা চালু করার সিদ্ধান্ত ভারত-বাংলাদেশের। পাশাপাশি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে “মুক্তিযোদ্ধা” প্রকল্প চালু করার। যার সর্বোচ্চ সীমা ৮ লাখ। আশা রাখছে এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হবেন বহু বাংলাদেশী। যা জানিয়েছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক।

আরও পড়ুন ? Airtel Rs 9 Plan: Jio কে টেক্কা! এবারে মাত্র ৯ টাকায় নতুন খেলা শুরু করলো Airtel

পরিবহন চিকিৎসার পাশাপাশি ভারতের সহায়তায় বাংলাদেশের UPI পরিষেবা চালু করার পদক্ষেপ। যার জন্য বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্যিক চুক্তি হবে ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার। এছাড়াও এই দিন গঙ্গা চুক্তি পুনরায় আলোচনার কথা ওঠে। যা ১৯৯৬ সালের ১২ই ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত হয়েছিল। পুনরায় এই চুক্তি নিয়ে আলোচনা করার জন্য ভারত-বাংলাদেশ (India-Bangladesh Agreement) যৌথ উদ্যোগে যৌথ টেকনিক্যাল কমিটি তৈরীর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের তিস্তা নদীর সংরক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য ভারত থেকে একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে যাওয়ার কথা হয়েছে।

এখানেই শেষ নয়, ভারত বাংলাদেশের বৈঠকে আরো বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেমন বাংলাদেশী পুলিশ অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ৩৫ টি জায়গা করে দেওয়া, বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে ইনল্যান্ড কন্টেনার ডিপো নির্মাণ ইত্যাদি। যা জানিয়েছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। অপরদিকে, বাংলাদেশ ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগরীয় কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।

Advertisements