India-Bangladesh Update: পূর্বে বাংলাদেশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশ ভারত (India VS Bangladesh Update) থেকে ৫০,০০০ টন চাল আমদানি করবে। বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের প্রতি কথিত দুর্ব্যবহার নিয়ে প্রতিবাদ ও পাল্টা প্রতিবাদের পর দুই প্রতিবেশীর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরি হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। পরিকল্পনার আওতায় ভারত থেকে প্রতি টন ৪৬৭.৭ মার্কিন ডলারে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানি করা হবে এবং মায়ানমার থেকে প্রতি টন ৫১৫ ডলারে ১ লাখ টন সাদা চাল আমদানি করা হবে।
তবে বাংলাদেশের ভারতের (India-Bangladesh Update) সঙ্গে ক্রমাগত সম্পর্ক খারাপ থেকে অতি জঘন্ন্য হয়ে আসছে। তার মধ্যে আবার বাংলাদেশের কলকাতা দখলের হুমকি আরও আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর চলছে চরম অত্যাচার। এই সমস্ত কারণেই বাংলাদেশ আর চাইছে না ভারতের ওপর কোনো কারণে নির্ভরশীল হওয়ার। সেই জন্য বর্তমানে ভারত থেকে চাল আমদানি করতে চাইছে না বাংলাদেশ। তাই তারা খুঁজতে ব্যস্ত এর বিকল্প।
সম্প্রতি মুহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের খাদ্য উপদেষ্টা আলি ইমাম মজুমদার জানিয়েছে যে তারা আন্তর্জাতিক বাজার থেকে খাদ্য শস্য আমদানির চেষ্টা করছে। তার কারণ এই অরাজকতার সময় দেশের বাজারেও লেগেছে আগুন। ঘাটতি পড়েছে খাদ্যশস্য বন্টনের। সেক্ষেত্রে তারা ভারত থেকে সাহায্য না চেয়ে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে খাদ্যশস্য আনার কথা ভাবা শুরু করেছে।
আরও পড়ুন:Bangladesh vs Indian Army: কলকাতা দখল করবে বাংলাদেশ, ভারতীয় সেনাকে আদৌ কি টক্কর দিতে পারবে
ইউনূসের খাদ্য উপদেষ্টার থেকে যে খবর পাওয়া গেছে তাতে জানা গিয়েছে যে, এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশে ২২ লাখ টন চাল তাদের হেফাজতে রয়েছে। তবে সেই ২২ লাখ টন কম পড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছে তারা। তাই সেটিকে যেভাবেই হোক ৩০ লাখ টন করতেই হবে। ইতিমধ্যে তারা মায়ানমার থেকে ১ লাখ টন চাল আমদানি করেছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তাদের বক্তব্য আর আগের মতো তারা ভুল করবে না। কোন দেশের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হতে চাইছে না তারা।
মুহম্মদ ইউনূস খুব ভালোভাবে জানেন যে এই আন্তর্জাতিক বাজার থেকে খাদ্যশস্য বা চাল আমদানি করলে তাদের বেশ মোটা অংকের ক্ষতি হবে। তার কারণ ভারত থেকে চাল আমদানি, তাদের জন্য ছিল খরচ সাপেক্ষ। তারা খুব সহজেই কম মূল্যের পরিবর্তে চাল আমদানি করতে সক্ষম হতো। কিন্তু বর্তমানে তারা ভারতের (India-Bangladesh Update) পরিবর্তে পাকিস্তান, মায়ানমার, তাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং অন্যান্য একাধিক দেশের ওপর নির্ভর করতে চাইছে, যা তাদের জন্য মোটেই পূর্বের মতো সাশ্রয়ী হবে না।