India-Bhutan Train Service: নতুন বছর নিয়ে আসছে দুর্দান্ত সুখবর! পরিকল্পনা অনুযায়ী যদি সবকিছু চলে তাহলে খুব শীঘ্রই নির্মাণ কাজ শুরু হবে ভারত-ভুটান রেলপথের। আগামী অর্থবর্ষেই হয়তো অনুমোদন পাওয়া যাবে এই নতুন রেলপথ নির্মাণ হওয়ার। ইতিমধ্য়েই অসমের কোকরাঝাড় থেকে ভুটানের গেলেফু শহর রেললাইন বসানোর জন্য সমীক্ষার কাজ শেষ করা হয়েছে। এই রুটে যদি রেলপথ নির্মাণ হয় তাহলে তার দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৬৩ কিলোমিটার।
যদি এই রুটে রেলপথ নির্মাণ (India-Bhutan Train Service)হয় তাহলে সবার আগে প্রয়োজন ‘ডিটেলড প্রোজেক্ট রিপোর্ট’ বা ডিপিআর, বর্তমানে চলছে সেটি তৈরির কাজ। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য মনে করেছেন যে, ডিপিআর তৈরির প্রক্রিয়া শেষ হলেই হয়তো ছাড়পত্র পাওয়া যাবে রেলপথ নির্মাণের ক্ষেত্রে। কিন্তু রেলের তরফ থেকে স্পষ্ট ভাবে এখনো কোনোরকম মন্তব্য প্রকাশ করা হয়নি। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের সিপিআরও কপিঞ্জলকিশোর শর্মাকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে লেখা হয়েছে, ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে কোকরাঝাড় থেকে গেলেফু পর্যন্ত রেলরুটের সমীক্ষার কাজ। এখন চলছে ডিপিআর-এর কাজ। একবার এই কাজ শেষ হলে তা রেল বোর্ডের কাছে পাঠানো হবে।
ভারত-ভুটান মধ্যকার রেলপথ নির্মাণের (India-Bhutan Train Service) দাবি বহুদিনের এমনটাই বলেছে ভারতীয় রেল। শুধুমাত্র আমজনতা কিংবা পর্যটকরাই যে উপকৃত হবে তা নয়, দুই দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য আরও সহজ ও সম্প্রসারিত হবে। এই রেলপথ নির্মাণের মধ্য দিয়ে পোক্ত হবে ভুটানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক। ভারতের সঙ্গে ভুটানের সরাসরি রেল যোগাযোগ গড়ে তুলতে প্রাথমিকভাবে পাঁচটি সম্ভাব্য রুটের কথা ভাবা হয়েছিল।
আপাতত সম্ভাবনা রয়েছে অসম থেকে ভুটান পর্যন্ত তিনটি রুটে (India-Bhutan Train Service)ট্রেন চালানোর। পাশাপাশি আরও একটি সম্ভাব্য রুট আলোচনা করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলা থেকে। অন্যদিকে, অসম থেকে ভুটান পর্যন্ত প্রস্তাবিত রেলরুটগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল কোকড়াঝাড়-গেলেফু। শেষ পর্যন্ত সেই রুটটিকেই বেছে নেয় রেল মন্ত্রক।
২০২২ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল ভারত ও ভুটান – দুই দেশের সম্মতিক্রমে এই রুটে (India-Bhutan Train Service) সমীক্ষার কাজ শুরু করে দিয়েছে। সমীক্ষার কাজ চলেছে প্রায় দুই বছর ধরে। অবশেষে, ফাইনাল লোকেশন সার্ভের কাজ শেষ হয় গত নভেম্বর মাসে। একবার যদি ডিপিআর তৈরির কাজ শেষ হয় তাহলেই টেন্ডার দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।
যদি আগামী অর্থবর্ষেই এই রুটের জন্য বাজেট বরাদ্দ করা হয়, তাহলে কিন্তু ভারত-ভুটান রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হতে খুব বেশি দেরি হবে না। বিশেষজ্ঞ মহল অবশ্য বলেছে যে, সরাসরি রেলরুট চালু হলে অসমের কোকরাঝাড় থেকে ভুটানের গেলেফু পৌঁছতে ঘণ্টা খানেক সময় লাগবে। এই রেলপথ নির্মাণের মাধ্যমে দুই দেশের পণ্য পরিবহন করতেও অনেক সুবিধা হবে। পরিবহণ খরচ কমবে এবং সময় বাঁচবে। যার জেরে লাভবান হবে দুই পক্ষই।