নিজস্ব প্রতিবেদন : পাকিস্তানের সাথে ভারতের সংঘাত দীর্ঘদিনের। আর এই সংঘাতের সাথে এবার যুক্ত হয়েছে চিনের আগ্রাসন নীতি। চীনের সেই আগ্রাসন নীতির প্রতিফলন আমরা দেখেছি পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায়। ১৫ই জুন রাতে চিনের আগ্রাসন নীতিকে ঠোকর দেয় ভারতীয় সেনারা। বিনিময়ে ভারতের ২০ জন বীর জাওয়ানকে তাদের প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়, তবে মরার আগে তারা চীনের অজস্র সেনার প্রাণ কেড়ে নেন। আর এর পরেই ভারতকে একের পর এক পদক্ষেপ নিতে দেখা গিয়েছে চীনের বিরুদ্ধে। আর এবার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত এমন এক পদক্ষেপ নিতে চলেছে যাতে করে চীন ও পাকিস্তানের মতো দেশকে চোখে ধুলো দিয়ে ভারতীয় সেনারা নিমেষে পৌঁছে যেতে পারবে লাদাখের সীমান্তবর্তী এলাকায়।
প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে মানালি থেকে লেহ পর্যন্ত একটি নতুন রাস্তা তৈরি করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। আর এই রাস্তা তৃতীয় রাস্তা হিসেবে দেশের উচ্চতম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে দেশের সাথে সংযুক্ত করবে। নতুন এই রাস্তা দিয়ে ভারত ট্যাঙ্ক ও বাহিনী লাদাখে নিয়ে গেলে কোনোভাবেই শত্রুপক্ষের চোখে পড়বে না। কৌশলগত দিক দিয়ে ভারত গত তিন বছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ সাব সেক্টর উত্তর সহ দৌলত বেগ ওল্ডি এবং সেখানকার অন্যান্য অঞ্চলে বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরীর করার বিষয়ে কাজ করছে। ইতিমধ্যেই খারদং লা পাস থেকে এই কাজ শুরু হয়ে গেছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, জোজিলা পাস এবং শ্রীনগর হয়ে ও মানালি থেকে সারচু হয়ে বর্তমানে লেহ যাওয়ার দুটি রাস্তা রয়েছে। কিন্তু নিমু-পাদাম-দারচা এলাকা দিয়ে নতুন যে রাস্তাটি তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে সেই রাস্তা তৈরি হলে মানালি থেকে লেহ পৌঁছাতে অনেক কম সময় লাগবে।
নতুন পরিকল্পনায় যে রাস্তা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার সেই রাস্তা দিয়ে মানালি থেকে লেহ পৌঁছাতে অন্যান্য রাস্তার তুলনায় কম করে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় কম লাগবে। এছাড়াও এই রাস্তাটি তৈরি হলে এর আরও এক গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য থাকবে। এই রাস্তায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর গতিবিধি ধরতে পারবেনা পাকিস্তান-চীন অথবা অন্য কোন বিদেশি দেশ।