কোনো চিনা বিদ্যুৎ সরঞ্জাম আমদানি নয়, চিনকে শিক্ষা দিতে কেন্দ্রের বড় পদক্ষেপ

নিজস্ব প্রতিবেদন : জুন মাসে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারতের ২০ জন সেনা শহীদ হওয়ার পর থেকেই বদলা নেওয়ার আগুনে ফুঁসছিল গোটা দেশ। এরপর চীনকে কোণঠাসা করতে একের পর এক পদক্ষেপ নেয় ভারত সরকার। সরকারি বিভিন্ন কাজে চিনা সংস্থার বরাদ্দ বাতিল করা হয়, চীন থেকে আমদানিকৃত জিনিসের উপর লাগাম লাগানো হয়। এমনকি কোটি কোটি টাকার নির্মাণ কাজেও চিনা সংস্থাগুলিকে বয়কট করে ভারত। পাশাপাশি টেলিকম সংস্থার কাজে চীনা পণ্য ব্যবহার না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। আর এসবের পাশাপাশি এবার চীনকে আরও কোণঠাসা করতে ভারত সরকারের তরফ থেকে বড় একটি পদক্ষেপ নেওয়া হলো।

ভারত সরকারের এই বড় পদক্ষেপ হলো, এবার থেকে বিদ্যুতের সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে চিনা সংস্থাকে বয়কট। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আর.কে. সিংহ জানিয়েছেন, চীন থেকে ভারত আর বিদ্যুৎ সরঞ্জাম আমদানি করবে না। আর এনিয়ে শুক্রবার কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রীদের সাথে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। সেখানে তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, চীন ও পাকিস্তান থেকে বিদ্যুতের কোন সরঞ্জাম আর আমদানি করার জন্য অনুমতি দেওয়া হবে না কেন্দ্রের তরফ থেকে।

ভারত-চীন সীমান্ত এলাকা নিয়ে ভারত ও চীনের বিবাদ দীর্ঘদিনের। তবে বিবাদ থাকলেও রক্তক্ষয়ী সংঘাতের রূপ সচরাচর দেখা যায় না। তবে দীর্ঘ কয়েক দশক পর জুন মাসের ১৫ তারিখ সংঘাত চরম আকার নেয়। যে ঘটনায় ভারতের ২০ জন সেনা জওয়ান শহীদ হন। বেজিং সরকারের তরফ থেকে তাদের সেনাদের প্রাণ হারানোর সংখ্যা সঠিকভাবে বলা না হলেও সূত্র মারফত জানা যায় তাদের দ্বিগুণ সেনা প্রাণ হারিয়েছে। আর এই ঘটনার পরেই চীনের আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে দেশের অন্দরে বিপুল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় চীনা পণ্য বর্জন নিয়ে। আর এই প্রতিক্রিয়ার ফলস্বরূপ একের পর এক চিনা জিনিস ভারতে নিষিদ্ধ হতে শুরু করে।

জুন মাসের ২৯ তারিখ দেশের সার্বভৌমত্ব ও সুরক্ষার কথা উল্লেখ করে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯-এ ধারায় ভারত সরকার ৫৯টি চীনা অ্যাপ ভারতে নিষিদ্ধ করে। আর এই ৫৯টি চিনা অ্যাপের মধ্যে রয়েছে TikTok, UC Browser, Shareit এবং Helo এর মত জনপ্রিয় অ্যাপ। চীনের আগ্রাসন নীতিকে চাপে ফেলতে ভারত সরকারের এমন একের পর এক পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশের আপামর জনতা থেকে আন্তর্জাতিক মহলও।