Advertisements

Type15 Vs Zorawar LT: সেয়ানে সেয়ানে হবে টক্কর! চীনের টাইপ ১৫ বনাম ভারতের জোরাওয়ার! কে বেশি শক্তিশালী?

Prosun Kanti Das

Published on:

India developed Zorawar LT to counter China’s Type15 in the frontal battle: বর্তমানে সবকিছুতেই এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। যুদ্ধক্ষেত্রেও যে আসবে তা আলাদা করে বলে দেওয়ার কোন প্রয়োজন পড়ে না। এখন না না আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে প্রস্তুত করা হয় যুদ্ধক্ষেত্র। যুদ্ধের সময় ব্যবহার করা হয় ড্রোন। তবে যতই আধুনিক যন্ত্রপাতি আসুক না কেন হালকা ওজনের ট্যাঙ্কগুলির গুরুত্ব কোনোভাবেই কমবে না যুদ্ধক্ষেত্রে এই ধরনের ট্যাংকের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। সম্প্রতি ভারতের ১ টি হালকা ওজনের ট্যাংক যার নাম জোড়াওয়ার। এই ট্যাঙ্কটিকে মোকাবিলা করতে হতে পারে চীনের হালকা ওজনের ট্যাঙ্ক টাইপ ১৫ র সঙ্গে (Type15 Vs Zorawar LT)। ২ টি ট্যাঙ্কই প্রযুক্তিগত দিক থেকে বেশ উন্নত। কিন্তু মুখোমুখি মোকাবিলার ক্ষেত্রে কোনটা এগিয়ে? কার জেতার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি? চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত তথ্য।

Advertisements

ভারতের জোরাওয়ার ট্যাঙ্কটি যৌথ উদ্যোগে তৈরি করেছে ডিআরডিও এবং লার্সেন এন্ড টুব্রো সংস্থা। চীনের ট্যাংকটির ভর মাত্র ২৫ টন। তুলনায় ভারতের ট্যাংকটি (Type15 Vs Zorawar LT) কিন্তু যথেষ্ট ভারী তার ভর ৩৬ টন। তবে ২ টি ট্যাংকের ক্ষেত্রে বেশ কিছু মিল রয়েছে। যেমন ২ টি ট্যাংকেই প্রধান আগ্নেয়াস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ১০৫ মিলিমিটারে মেশিনগান। ট্যাংকগুলিতে ক্রুদের বসার জায়গা রয়েছে ৩ জনের। পাকা রাস্তায় ২ টি ট্যাংকেরই গতিবেগ ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা অব্দি তোলা সম্ভব। তবে শুধুমাত্র পাকা রাস্তার জন্য ট্যাংক ব্যবহার করা হয় না। রাস্তা বাদে অন্যান্য জায়গায় ভারতীয় ট্যাঙ্কটি যেতে পারে ৩০ থেকে ৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে। সেখানে চীনের টাইপ ১৫ ট্যাংকটি যেতে পারে ৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে। শক্তির দিক থেকেও ২ টি ট্যাংকই সমান। দুজনেরই ক্ষমতা মাপকাঠি হাজার অশ্বশক্তি।

Advertisements

চীনের টাইপ ১৫ ট্যাংকের চেয়ে ভারতের জোরাওয়ার ট্যাংক (Type15 Vs Zorawar LT) কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এগিয়েও রয়েছে। যেমন, পাওয়ার টু ওয়েট অনুপাতে ভারতের জোড়াওয়ার ট্যাংক টাইপ ১৫ ট্যাংকের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে। ট্যাংকে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রের দিক থেকেও জোড়াওয়ার এগিয়ে রয়েছে। টাইপ ১৫ এর চেয়ে জোরাওয়ারের সুরক্ষা ব্যবস্থা, যোগাযোগ, নজরদারি সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে। জোড়াওয়ার শত্রুপক্ষের শক্ত ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করার উদ্দেশ্যেই তৈরি করা হয়েছে ভারতের জোড়াওয়ার। তাই শত্রুপক্ষের প্রতিরোধ ব্যবস্থা এই ট্যাংকটিতে অনেক বেশি। পাকা রাস্তা বাদ দিয়ে অন্যান্য জায়গায় টাইপ ১৫ এর চেয়ে গতিবেগের ক্ষেত্রে সামান্য পার্থক্য থাকলেও এই ট্যাংকটি কিন্তু জলে স্থলে সব জায়গায় সমান ভাবে চলতে পারে। আকাশ পথে, স্থলপথে অথবা জলপথে যে কোনোভাবেই ট্যাঙ্কটিকে বয়ে নিয়ে যাওয়া খুবই সহজ। তাই ট্যাঙ্কটি যে কোন জায়গায় মোতায়েন করাও খুব সহজ। আর যেহেতু মাত্র ৩ জন ক্রু দ্বারা এই ট্যাঙ্কটি চালানো যায়, তাই ম্যানপাওয়ার কম থাকার কারণে অনেক বেশি সুবিধা পাওয়া যায় যুদ্ধক্ষেত্রে।

Advertisements

আরও পড়ুন ? India-China: আটকে রইল সেই এক জায়গাতেই, এবারও আয়ের নিরিখে দফায় দফায় চীনের কাছে হার মানল ভারত

জোড়াওয়ারে দ্বিতীয় অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয় কোঅ্যাক্সিএল ৭.৬২ মিলিমিটার মেশিনগান। সে ক্ষেত্রে টাইপ ১৫ তে ব্যবহার করা হয় কোঅ্যাক্সিল ৫.৮ মিলিমিটার মেশিনগান। ১০৫ মিলিমিটার যে মেশিনগানটি ব্যবহার করা হয় তার দ্বারা ৩ কিলোমিটার দূরত্বে থাকা কোন বস্তুকেও হিট করা সম্ভব। এছাড়া এই মেশিন গানগুলিতে রয়েছে অটো লোডেড সিস্টেম যার সাহায্যে গুলি শেষ হয়ে গেলেও অটোমেটিক্যালি তা ফিল হয়ে যায়। আলাদা করে গুলি করার জন্য কোন লোকের প্রয়োজন হয় না। মেশিন গানগুলিতে ব্যবহার করা হয় ৩৮ ঝর্নার ১০৫ মিলিমিটার কার্তুজ। ২০০০ মিটার দূরত্বে থাকা ইস্পাতের জিনিসও ৫০০ মিলিমিটার গভীর ছিদ্র তৈরি করতে সক্ষম এই মেশিনগান।

ট্যাংকগুলিতে রয়েছে লেজার রেঞ্জ ফাইন্ডার ব্যালিস্টিক কম্পিউটার, মিলিমিটার ওয়েভ রাডার, থার্মাল ইমেজিং সাইট, কমান্ডারস প্যারানোমিক সাইট আরো অনেক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। ভারতের জোড়াওয়ারের তুলনায় চীনের টাইপ ১৫ (Type15 Vs Zorawar LT) ঠিক কতটা এগিয়ে বা পিছিয়ে তা এক কথায় বলা কোনভাবেই সম্ভব নয়। দেশীয় যুদ্ধ পদ্ধতি এবং বেশ কিছু আধুনিকতার দিক থেকে যেমন এগিয়ে জজোরাওয়ার। তেমনি কেবিন ক্রু মেম্বার, অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র এসব বিষয়ে এগিয়ে টাইপ ১৫। তবে এই ২ টি ট্যাংক যুদ্ধক্ষেত্রে স্বল্প ওজনের ট্যাংকের মধ্যে নিজের নিজের দেশের উন্নতির প্রমাণ বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। যার ফলে অন্যান্য দেশের কাছেও বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে ২ টি দেশের ২ টি ট্যাংকই।

Advertisements